Industrial Park at Salboni: রাজ্যকে শালবনির জমি ফেরাচ্ছে না জিন্দাল গোষ্ঠী, তৈরি করবে শিল্প পার্ক

শালবলিতে বাম জমানায় দেওয়া জমি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেনি জিন্দালরা। যেটুকু জমিতে শিল্প হয়েছে তা ছেড়ে বাকি জমি ফেরত দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারকে জানিয়েছিল ওই শিল্প গোষ্ঠী। স্পেনে মুখ্যমন্ত্রীর সফর সঙ্গী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জিন্দালরা যে জমি ফেরত দেবে তার কিছু অংশে ইস্পাত কারখানা করবেন তিনি। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের এই আশ্বাসে কর্মসংস্থানের আশার বুক বেঁধেছিল বাংলা। দি টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, শালবনির জমি ফেরত দেবে না জিন্দাল গোষ্ঠী। সেখানে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করবে তারা। যেখানে দেশি-বিদেশি সংস্থা বিনিয়োগ করে তাদের কারখানা তৈরি করবে ।

২০০৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে জিন্দালদের ৪১০০ একর জমি দিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। তার মধ্যে ৮৫০ একর জমি সিমেন্ট গ্রাইন্ডিং ইউনিট, পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং রেলওয়ে সাইডিং তৈরি করা হয়েছিল। বাকি জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। ওই জমি ফেরত দিতে চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল তারা। স্পেনে গিয়ে সৌরভ ওই ফেলে রাখা জমিতে শিল্প করার কথা ঘোষণা করেন। তারপরই সিদ্ধান্ত বদলের ঘোষণা করে ওই জমিতে শিল্প পার্ক করার কথা জানায় জিন্দাল গোষ্ঠী।

(পড়তে পারেন। এবার মিলতে চলেছে ‘‌দুয়ারে দলিল’‌ পরিষেবা, জমি–বাড়ি রেজিস্ট্রিতে নয়া পদক্ষেপ)

তবে সংস্থার দাবি অন্য। সম্প্রতি রাজ্য সরকার জমি নীতিতে বদল এনেছে, লিজে দেওয়া জমিকে ফ্রি হোল্ড জমিতে পরিবর্তন করার কথা জানিয়েছে। তারপরই জমি ফেরত দেওয়া নিয়ে আগের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা শুরু করে জিন্দালরা।

কিন্তু প্রশ্ন হল যে জমিতে শিল্প করার কথা ঘোষণা করেছিলেন সৌরভ, তার কী হবে? দি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ওই শিল্প পার্কের ভিতরই হবে সৌরভের কারখানা। ক্যাপ্টেন টিএমটি বার নির্মাতা, যার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং স্বল্প সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক, তিনি ওই শিল্পপার্কের ভিতরই স্পঞ্জ-আয়রন-ভিত্তিক প্ল্যান্ট স্থাপন করতে আগ্রহী।

শিল্প উন্নয়নের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রশংসা করে জিন্দাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দাল বলেন,’শিল্পক্ষেত্রে বাংলাকে আবার তুলে ধরার জন্য সব কিছু রয়েছে। তাই জমিকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করার জন্য এবং বিভিন্ন ধরনের শিল্পস্থাপণের জন্য ব্যবহার করা হবে।’

জিন্দাল গোষ্ঠীর প্রস্তাবটি রাজ্য প্রশাসনও ভালভাবে নিচ্ছে। প্রশাসন মনে করছে, রাজ্য সরকারের তুলনায় অনেক ভাল ভাবে শিল্পপার্ক গড়ে তুলতে পারবে বেসরকারি সংস্থাটি। 

সূত্রের খবর, ক্যাপ্টেন স্টিল টিএমটিবার ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা ওই শিল্প পার্কে শিল্প স্থাপণে আগ্রহ দেখিয়েছে।