BJP state office: মুরলীধরে ‘ঘর ছাড়া’ দিলীপ-রাহুল, কারণ জানালেন সুকান্ত মজুমদার

বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে ঘরছাড়া প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা। মুরলিধর সেন লেনে যে ঘরে বসে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে তাঁরা, সেই ঘরে দিলীপ-রাহুল কেউ বসতে পারবেন। বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে তাঁদের ঘর। তাই সংস্কারের জন্য ঘর ভাঙা হবে।

বিজেপি সূত্রে খবর, গত শনিবার দলের কার্যালয়ে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি নিজের ঘরে গিয়ে দেখেন এসির প্লাগ পয়েন্ট খোলা। তিনি এ নিয়ে ঘনিষ্ট মহলে উষ্মা প্রকাশ করেন। সূত্রে খবর, দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকেই ঘর ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকই এই নির্দেশ দিয়েছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘুর মোর্চার এক নেতা ইতিমধ্যেই ইমেল পাঠিয়েছেন জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে।

কেন এই ঘরছাড়ার নির্দেশ তা জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘কাউকে ঘরছাড়া করার উদ্দেশ্য আমাদের নয়। সংস্কারের জন্য সব ঘরই ভাঙা হবে। আমার ঘরও ভাঙা হবে। আইটি সেলের বিশেষ ইউনিট গোড়ে তোলা হবে এখানে।’

(পড়তে পারেন। রাজ্যকে শালবনির জমি ফেরাচ্ছে না জিন্দাল গোষ্ঠী, তৈরি করবে শিল্প পার্ক) 

(পড়তে পারেন। রায়দান স্থগিত অভিষেকের মামলায়, শুনানি শেষ, বক্তব্যও জমা পড়েছে)

৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনের একতলায় দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার জন্য পৃথক পৃথক ঘর রয়েছে। তাঁরা ওই ঘরে বসেন। দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু ওই দুটি ঘরই ভাঙা। তবে কী এই ভাঙার খবর জানতেন না দিলীপ ঘোষ? যদিও এর উত্তর নিয়ে দলের অনেকই বেশ ধোঁয়াশায়। 

শনিবার পার্টি অফিসে এসে নিজের কার্যালয়ে বসতে যান দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেখানে বসতে গিয়ে দেখেন এসির প্লাগ পয়েন্ট খোলা। যদি তিনি আগে থেকে জানাতেন তবে শনিবার এসে নিজের ঘরে বসতেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন দলের অনেকে। ক্ষোভ জানিয়ে ইতিমধ্যে নড্ডাকে ইমেলও করেছেন সংখ্যালঘু মোর্চা নেতা শামসুর রহমান।

যদিও একে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি খুব স্বাভাবিক ভাবে এ বিষয় নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

ঘর ভাঙা হলেও বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির জন্য। তাই আপতত কোথায় তাঁরা বসবেন তা ঠিক নেই।