Kolkata largest shopping mall: আলিপুরে শুরু হল কলকাতা তথা পূর্ব ভারতের বৃহত্তম শপিং মলের নির্মাণকাজ

কলকাতা তথা পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শপিং মল ফিনিক্স মার্কেট সিটি তৈরির পরিকল্পনা আগেই গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই মতোই শুরু হল নির্মাণ কাজ। সপ্তাহখানেক আগেই এই শপিং মলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই মলটি একবার সম্পূর্ণ হলে এটি কলকাতারই নয়, পূর্ব ভারতের বৃহত্তম মলে পরিণত হবে। মলের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে। আলিপুরেই তৈরি হচ্ছে এই শপিংমলটি। স্বাভাবিকভাবেই এত বড় এই মলকে ঘিরে শহরবাসীর অনেক কৌতুহল রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাইপাসের পাশে এক অভিনব শপিং মল গড়ার পরিকল্পনা সরকারের, জানুন বিস্তারিত

শপিং মলটির আয়তন হবে প্রায় ১০ লক্ষ স্কয়ার ফিট। মুম্বাইয়ের মল ডেভেলপার ফিনিক্স মিলস এবং কানাডা পেনশন প্ল্যান ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড যৌথভাবে এই মল তৈরির কাজ করছে। জানা গিয়েছে, নির্মাণকারী সংস্থা ৩০০ কোটি বিনিয়োগ করে এই মলের জন্য জমি কিনেছিল। মল তৈরি জন্য কানাডা পেনশন প্ল্যান ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। জাজেস কোর্ট রোডের কাছে তৈরি হচ্ছে এই শপিং মলটি।

 উল্লেখ্য, ফিনিক্স মিলস লিমিটেড এর আগেও বহু মহানগরে বড় বড় মল তৈরি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুনে, মুম্বাই, লখনউ, আগ্রা প্রভৃতি শহরে তারা আগে মল তৈরি করেছে। এছাড়াও, বহু আবাসন তৈরি করেছে এই সংস্থা। আর এবার কলকাতার এই শপিং মলটি তৈরি করছে এই সংস্থা।   এই মল তৈরির জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত বছরের জুন মাসে ছাড়পত্র পেয়েছিল নির্মাতা সংস্থা। তারপরেই মল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় সংস্থাটি। 

অবশেষে এবছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হল মলের নির্মাণ কাজ। জানা গিয়েছে, বিনিয়োগকারী সংস্থা কানাডা পেনশন প্ল্যান ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড এই মলের ৪৯ শতাংশ অংশীদার হবে। একবার এই মল তৈরি হয়ে গেলে সেখানে প্রচুর ক্রেতার ভিড় হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে, আলিপুর একটি পুরনো এলাকা। এখানে অনেক ফ্ল্যাট, আবাসন, বসতি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে অফিস। তাছাড়া, বড় মলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকের। ফলে সে ক্ষেত্রে এই মলে ক্রেতাদের ভিড় হবে বলেই আশা কর্তৃপক্ষের। আধুনিক ওপেন পাবলিক স্পেসের ভাবনা আরও বেশি করে তুলে ধরা হবে। এই মলের নকশা তৈরি করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয়দের পাশাপাশি এই মলে বেহালা, হাওড়া এবং উত্তর কলকাতার মানুষ খুব সহজেই পৌঁছতে পারবেন বলে মনে করছেন নির্মাতারা।