তালাবন্ধের পরও থামছে না কোন্দল, সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে উঠল মুর্দাবাদ স্লোগান

সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে ঘিরে একটা দৃশ্য সামনে এসেছিল। সেটা হল— বাঁকুড়া জেলা কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে তালাবন্ধ করে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপিরই নেতা–কর্মীদের একাংশ। এবার আবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার এবং বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হল বিজেপিরই কর্মীরা। বাঁকুড়ার শালতোড়ার এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ–বিজেপি। কারণ এটা সরাসরি গোষ্ঠীকোন্দলের সাক্ষ্য বহন করে। তবে এখনও ঘটনাটি নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বাঁকুড়ায় খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কেন্দ্রে এমন ছবি তাঁর টিকিট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে। বাঁকুড়া জেলাজুড়ে বিজেপির এমন গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনার খবর সবার কানেই পৌঁছে যাচ্ছে। তার উপর নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা সুভাষবাবুর জন্য মোটেই ভাল বার্তা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে না। এবার শালতোড়ায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা এলাকার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার এবং বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে পথে নামলেন বিজেপি কর্মীরা।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ অন্যদিকে আজ, শনিবার দুপুরে শালতোড়া লেদ মোড়ে রীতিমত রাস্তার পাশে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হল। তারস্বরে স্লোগান ওঠে ‘সুভাষ সরকার ও সুনীল রুদ্র মণ্ডল মুর্দাবাদ।’‌ বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের দাবি, সদ্য সমাপ্ত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে শালতোড়া ব্লকে বিজেপি কর্মীরা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে। একাধিকবার তাঁদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। রক্ত ঝরেছে। সেখানে এলাকার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে পাশে পাওয়া গেল, অথচ দেখা মিলল না এলাকার সাংসদ সুভাষ সরকারের। তাই এই বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ দুর্গাপুজোয় শহরকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে, বসছে ফেস রেকগনিশন ক্যামেরা‌

আর কী অভিযোগ আছে?‌ বিক্ষোভকারীরা একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, মণ্ডল সভাপতি–সহ সাংগঠনিক বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়। সেখানে সুভাষ সরকার এবং সুনীল মণ্ডল দলের স্থানীয় কর্মীদের মতামতকে পাত্তাই দেননি। ঠাণ্ডা ঘরে বসে স্বজনপোষণ করেছেন। এই ছিনিমিনি খেলা বন্ধ না হলে জেলা জুড়ে আন্দোলন আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির বিক্ষোভকারী কর্মীরা। এই ঘটনার কথা কানে গেলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এমন অবস্থা চলতে থাকলে সেটা সুভাষবাবুর কাছে সুখকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।