নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুরহস্য আজও অজানা ভারতবাসীর কাছে। নেতাজি নিয়ে নানা তথ্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকার ছড়িয়ে দেয় দেশে। কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন কমিশন থেকে জানা যায়— সেই সব তথ্য ভ্রান্ত। নেতাজির সঙ্গে রাশিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে, সেখানেই নেতাজির মৃত্যু সংঘটিত করা হয়েছিল। সেই সময় রাশিয়ার নেতা ছিলেন স্টালিন। তিনি জানতেন— রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় ইয়াস্তুক জেলে রাখা হয়েছে নেতাজিকে। অথচ তাকে বাঁচানোর কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেননি তিনি। অতএব নেতাজির মৃত্যু তারই নির্দেশের ফল বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তিনি যদি সে সময় নেতাজির তথ্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরতেন তবে হয়তো অজ্ঞাতভাবে নেতাজির মৃত্যু হতো না। আর কলকাতায় এসে সেই তথ্য উসকে দিলেন ভারতের সাবেক মেজর জেনারেল জিডি বকসী।
তিনি এদিন মূলত এসেছিলেন কলকাতায় অল ইন্ডিয়া লিগাল এইড ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের ইংরেজি সংকলন চেকা দি ওয়ে টু বোন্স বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশে। সেখানেই তিনি এই বিস্ফোরক দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য অবিলম্বে প্রকাশিত হওয়া উচিত। এজন্য ভারত সরকারের কাছে থাকা ৪১টি নেতাজি সম্পর্কিত অপ্রকাশিত ফাইল প্রকাশের দাবি জানান। তার কথায় এর জন্য প্রয়োজনে যে কোনও দেশের সঙ্গে সম্মুখ সমরে যাওয়া উচিত। কারণ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দেশের অন্যতম স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। যার অবদান স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে ভোলা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ভারত সরকারের কাছে থাকা ৪১টি ফাইল প্রকাশ করা উচিত। ইতোমধ্যে ভারতের স্বাধীনতার প্রায় ৮০ বছর কেটে গেছে। তাই এই সময়ে কোনও ফাইল প্রকাশ হলে কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে প্রভাব পড়বে না। এছাড়াও দিল্লির রাজপথে আইএনএ-র একটি ফলক রাখা হোক। পাশাপাশি নেতাজির বিপুল সম্পত্তির হদিস দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা হোক। কারণ নেতাজির অন্তর্ধানের সময় বিপুল সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গিয়েছে কিন্তু পরবর্তীকালে সেই সম্পত্তির কোনও হদিস নেই।