ঝাড়গ্রামে গড়ে উঠছে প্রথম সিনে ক্যাফে, দুর্গাপুজোয় বাড়বে পর্যটকদের ভিড়

হাতে আর একমাসও বাকি নেই। দেখতে দেখতে চলে আসব দুর্গাপুজো। তাই যেসব পর্যটকরা দুর্গাপুজোয় শহরের বাইরে ঘুরতে চান তাঁরা এখানে ভিড় বাড়াতেই পারেন। ঝাড়গ্রামকে বলা হয় অরণ্যসুন্দরী। উইকএন্ড ট্রিপে অনেকেই ঝাড়গ্রাম যান। কিন্তু এই সৌন্দর্য অনুভব করতে পারেন না। কারণ এটি এবারই প্রথম গড়ে উঠছে। অরণ্যের মধ্যে থেকেও ঘুরতে ঘুরতে সিনেমা দেখার ইচ্ছে হতেই পারে। তবে সে ইচ্ছে হলে তা পূরণও হবে। কারণ এবার ঝাড়গ্রাম শহরে গড়ে উঠছে সিনে ক্যাফে। একই অঙ্গে নানা রূপ পেতে পারেন পর্যটকরা। দুর্গাপুজোর আগে চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। সেটা যদি কোনও কারণে না হয় তাহলে শীতের মরশুমে মন মজবে পর্যটকদের।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে?‌ ঝাড়গ্রাম শহরে আগে প্রচুর সিনেমা হল ছিল। কিন্তু আধুনিক ধাঁচে গড়ে উঠতে না পেরে বন্ধ হয়ে যায় সিঙ্গল স্ক্রিন হলগুলি। তখন স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে আগত পর্যটকদের মধ্যে একটা খামতি ছিল। সেটা হল গ্রামের সিনেমা হলের মজা নিতে না পারা। তাই পর্যটকরা অরণ্যের সৌন্দর্য দেখতে এলেও হতাশা একটা কাজ করত। এবার সবার কথা ভেবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক মানের সিনে ক্যাফে তৈরি হচ্ছে ঝাড়গ্রামে। আর এটাই পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াবে বলে মনে করছেন নির্মাতারা।

কেমন ভাবনা এই সিনে ক্যাফের?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের একটি সংস্থা এই সিনে ক্যাফে গড়ে তুলছে ঝাড়গ্রামে। পশ্চিমবঙ্গের এত জায়গা থাকতে তাঁদের এই অরণ্য ঘেরা ঝাড়গ্রামই পছন্দ হয়েছে। আর তারপর থেকেই দ্রুতগতিতে চলছে এই সিনেমা হল কাম ক্যাফে নির্মাণের কাজ। পুরাতন ঝাড়গ্রাম শহর থেকে একটু এগোলেই পড়বে শ্মশান কালী মন্দির। তার কাছেই ঝাড়গ্রাম–লোধাশুলি রাজ্য সড়কের কাছে গড়ে উঠছে সিনে ক্যাফে। শহর ও গ্রামের মেলবন্ধন মিলবে। আবার যাতায়াতের সুবিধা থাকছে। নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। তবে দমকল থেকে অনুমতি মেলেনি। সেটা পেতে একটু সময় লাগবে।

আরও পড়ুন:‌ কলকাতা পুরসভার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে, আজ বিজ্ঞপ্তি জারি

কেমন পরিষেবা এখানে মিলবে?‌ সিনেমা দেখা যেমন যাবে তেমনই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া–দাওয়াও করা যাবে। প্রায় ৩৪ হাজার বর্গ ফুট জায়গা জুড়ে থাকছে ক্যাফে। সিনেমা হলে এখন ১৫০ জন দর্শক বসতে পারবেন। এটা পরে আরও বাড়ানো হবে। সিনেমার টিকিটের মধ্যেই খাবারের দাম ধরা থাকবে। বাড়তি কড়ি গুণতে হবে না। চারটি শো থাকবে সারাদিনে। এখানে গার্ডেন রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলাধুলোর জায়গা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অডিটোরিয়াম থাকছে। ঝাড়গ্রামে ওই সংস্থার থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে কৌশিক মহাপাত্র এবং রাকেশ সোমানি দুই শিল্প উদ্যোগী এই ক্যাফে গড়ে তুলছেন।