রাজভবনেই শপথ হতে চলেছে ধূপগুড়ির বিধায়কের!‌ তাহলে কি মন্ত্রী হচ্ছেন?

ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ কি রাজভবনে হবে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে। কারণ সূত্রের খবর, এমন তথ্যই জানতে পেরেছে পরিষদীয় দফতর। এই ঘটনা যদি ঘটে, তাহলে তা বাংলার পরিষদীয় রাজনীতিতে নজিরবিহীন হয়ে থাকবে। কারণ একজন বিধায়ককে শুধু রাজভবনে রাজ্যপাল শপথবাক্য পাঠ করাবেন সেটার আগে কোনও উদাহরণ নেই। তাই এই খবর প্রকাশ্যে আসতে আর একটি প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। সেটি হল—ধূপগুড়ির বিধায়ক কি মন্ত্রী হচ্ছেন?‌

এই প্রশ্ন ওঠার কারণ হল, মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। এমনকী মন্ত্রিসভা গঠনের পর তার চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। তবে নতুন কেউ মন্ত্রী হলে তাঁকেও রাজ্যপাল শপথবাক্য পাঠ করিয়ে থাকেন। এটাই রীতি। আর বাকি বিধায়কদের শপথগ্রহণ হয় বিধানসভার অন্দরে। নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করিয়ে থাকেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। পরিষদীয় রীতি অনুযায়ী এটাই হয়ে থাকে। কিন্তু এবার সেটার পরিবর্তন হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। রাজভবনের পক্ষ থেকে এখনও কিছু ঘোষণা করা না হলেও পরিষদীয় দফতরের কাছে এমন খবর এসে পৌঁছেছে।

এদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয়েছিল। যার ফল প্রকাশিত হয় ৮ সেপ্টেম্বর। বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণের জন্য রাজ্যের পরিষদীয় দফতর থেকে ফাইল পাঠানো হয় রাজভবনে। যে ফাইল দেখেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একটি সূত্র মারফত খবর মিলেছে, রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। রাজ্যপাল নিজে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। যদিও রাজভবনের পক্ষ থেকে সেটা সরকারিভাবে জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন:‌ আমিরশাহির বাণিজ্য মন্ত্রীকে ‘‌কিউট’‌ বললেন মুখ্যমন্ত্রী, ‘‌বাংলায় আসুন’‌ আহ্বান মমতার

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়। তখন বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌মন্ত্রিসভার সদস্য ছাড়া বিধায়কের শপথ রাজভবনে আগে কখনও হয়নি। এবার যদি হয়, তখন তার যথাযথ প্রতিবাদ করা হবে। রাজ্যপালের নিজে শপথ বাক্য পাঠ করাতেই পারেন, কিন্তু সেটা বিধানসভায় এসে। আবার বিধানসভার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষকে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিতে পারেন।’‌ বিধায়কদের শপথ নিয়ে আগে একবার রাজভবনের সঙ্গে বিধানসভার ‘সংঘাত’ হয়েছিল। তখন জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল ছিলেন। দিনহাটা, খড়দা, গোসাবা ও শান্তিপুর উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব বিধানসভার অধ্যক্ষকে এড়িয়ে উপাধ্যক্ষকে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এবার কী হয় সেটাই দেখার।