Danish-Bidhuri Row: ‘আগে মোদীকে নিয়ে আপত্তিকর ভাষার প্রয়োগ’, বিধুরি-দানিশ কাণ্ডে উঠল নয়া অভিযোগ

সম্প্রতি সংসদে দাঁড়িয়ে বিএসপি দানিশ আলিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরি। সেই ঘটনায় এবার উঠল নয়া অভিযোগ। গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবার দাবি করলেন, বিধুরির বক্তব্য পেশের আগে দানিশ উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে আপত্তিকর ভাষার প্রয়োগও নাকি করেছিলেন দানিশ। এই নিয়ে লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি লিখে দানিশের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছেন নিশিকান্ত দুবে। অভিযোগ, বিধুরি যখন নিজের বক্তৃতা রাখছিলেন, তখন আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করে চলেছিলেন দানিশ আলি। তিনি মোজীকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছিলেন। নিশিকান্তের কথায়, ‘দানিশের কথা শুনে যেকোনও দেশপ্রেমীর রক্ত গরম হয়ে যাওয়ারই কথা। আর তাই দানিশের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন বিধুরি।’

এদিকে উলটো অভিযোগ করেছেন দানিশ। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার শুরু করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্মান রক্ষার্থে আওয়াজ তুলেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নামে যেসব আপত্তিকর কথা বলা হচ্ছিল, তা যাতে সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়, তার দাবি তুলেছিলাম।’ এরই সঙ্গে দানিশ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তাতে বিধুরির বক্তৃতার একটি অংশ দেখা যায়। সেখানে মোদীর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা বিরোধীদের আপত্তিকর শব্দের তালিকা তুলে ধরছিলেন বিধুরি। আর সেই সবই নাকি সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন দানিশ।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সংসদে বিএসপি সাংসদ দানিশকে উদ্দেশ্য করে অসংসদীয় মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির রমেশ বিধুরি। ইতিমধ্যেই বিধুরিকে সতর্ক করেছে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এদিকে গতকাল বিধুরিকে শোকজ নোটিশও পাঠান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সংসদের বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন বিএসপি সাংসদ দানিশ আলিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। এই ঘটনার পর বিএসপি সাংসদ স্পিকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। বিজেপি সাংসদের এই ‘বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের’ জন্য ক্ষমা চান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে বিধুরির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিএসপি সাংসদ। রমেশের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন জানান তিনি। তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি তোলা হয়েছে। এদিকে রমেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হলে তিনি পদত্যাগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন দানিশ। এদিকে স্পিকার ওম বিড়লা বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরিকে ডেকে পাঠান। তাঁকে এই ধরনে ভাষা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে সংসদীয় কার্যাবলী থেকে দানিশের উদ্দেশ্যে করা রমেশের মন্তব্য মুছে ফেলা হয়েছে। তবে বিধুরিকে সাসপেন্ড করার দাবি তুলেছে ডিএমকে, কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি।