যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৈফিয়ত তলব করল ইউজিসি, জবাব ১৫ দিনের মধ্যে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুতে নয়া মোড়। অ্যান্টি র‌্যাগিং নিয়মাবলি মানা হয়নি বলে এবার প্রশ্ন তুলে দিল ইউজিসি। আর তাতেই নতুন করে চাপে পড়ল এই বিশ্ববিদ্যালয়। কেন র‌্যাগিং বিরোধী নিয়ম মানা হয়নি? এই প্রশ্ন তুলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এবার কৈফিয়ত তলব করল ইউজিসি। এমনকী এই প্রশ্নের জবাব দিতে সময়সীমা ১৫ দিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাছাড়া যে ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি, সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?‌ তাও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

কেন এমন প্রশ্ন উঠছে?‌ ইউজিসি’‌র নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক। সেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেন বাদ যাবে? প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। তখন একদিকে সিসিটিভি বসাতে অনীহা আবার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে এখন বাধ্য হয়েছে ক্যামেরা বসাতে। আর সেই টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ক্যাম্পাসের নানা জায়গায় বসছে ২৬টি ক্যামেরা। আর তার মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠাল ইউজিসি। সূত্রের খবর, ২০০৯ সাল থেকে ইউজিসি’‌র অ্য়ান্টি র‌্যাগিং নিয়মাবলি মানেনি যাদবপুরে বিশ্ববিদ্য়ালয়। এবার ইউজিসি’‌র চিঠিতে উঠে এসেছে হস্টেল সুপারও।

ঠিক কী জানা যাচ্ছে? এখানে যেভাবে ছাত্র রাজনীতির নামে নোংরামো চলছিল সেটা অনেকেই জানতেন না। বিশেষ করে যাঁরা বাইরে থেকে আসতেন। এই বিষয়ে‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‌আমি এসে দেখলাম, অ্যান্টি র‌্যাগিং নিয়মগুলি কিছুই মানা হয়নি। তখনই বলেছিলাম, সিসিটিভি বসানো ও অন্যন্য় কাজগুলি করতে। কিন্তু কিছুতেই হচ্ছিল না। আমাকে এটা জোর করে কার্যকর করতে হয়। আসলে বুঝতেই পারছেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং যাদবপুরের যেটা চিরন্তন সমস্যা, উপাচার্যকে ঘেরা, আন্দোলনের জেরে আমি চলে গেলাম।’‌

আরও পড়ুন:‌ ধসের জেরে উত্তরবঙ্গের অবস্থা শোচনীয়, পর্যটকদের বুকিং বাতিলের আশঙ্কায় হোটেল মালিকরা

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এখনও পর্যন্ত ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। নয়া উপাচার্য গতকাল বলেছেন, তিনি নিজেই র‌্যাগিংয়ের শিকার। ফলে বোঝা যাচ্ছে এখানে অনেক ধরণের প্রভাব রয়েছে। এই বিষয়ে জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‌ইউজিসির যে অ্য়ান্টি র‌্যাগিং নিয়ম আছে, সেটা মানা উচিত। আমরা বহুবার বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বলতে যা বোঝায় সেই অবস্থা নেই। কারণ, কর্মসমিতি, কোর্ট, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল কোথাওই নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়মগুলি মানা হয়নি।’‌