যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাজ্যপালের জরুরি তলব, ছুটলেন রাজভবনে

আজ, সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে কৈফিয়ত তলব করেছে ইউজিসি। তার মধ্যেই এখন চলছে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ। র‌্যাগিং বিরোধী গাইডলাইন কেন মানা হয়নি?‌ এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছে ইউজিসি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এই পরিস্থিতিতে এবার আজ সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে জরুরি ভিত্তিতে রাজভবনে ডেকে পাঠালেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে একদিন আগেই ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছিলেন আচার্য উপাচার্যদের সঙ্গে। কারণ তাঁর আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাই আজ, সোমবার সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ডেকে পাঠালেন তিনি। আর ডাক আসতেই রাজভবনে হাজির হন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। কিন্তু প্রশ্ন হল, এমন কী জরুরি দরকার পড়ল যে সন্ধ্যায় তলব করতে হল?‌ তাহলে কি কোনও অশনি সংকেত মিলেছে?‌ রবিবারের বৈঠকের পর সোমবার একেবারে সশরীরে যাদবপুরের উপাচার্যকে রাজভবনে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। আজ, সন্ধ্যায় রাজভবনে যান যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ইউজিসির এই কৈফিয়ত তলবে পরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা জানার জন্যই এই তলব বলে রাজভবন সূত্রে খবর। একইসঙ্গে সবটা রিভিউ করে দেখবেন আচার্য বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ছাত্রদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার তিনি নিজেই সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তিনি নিজেই র‌্যাগিংযের শিকার। এমন মন্তব্য কেন করলেন?‌ সেটা জানতে চাইতে পারেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। আবার পড়ুয়াদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। আর তাতে অসুস্থও হয়ে পড়েন বলে খবর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের আবহে বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে উপাচার্যের মুখ থেকেই শোনা যায়, ‘‌আমিই তো র‌্যাগিংয়ের শিকার।’‌

আরও পড়ুন:‌ কবে শপথ ধূপগুড়ির জয়ী প্রার্থীর? এবার বোসকে চিঠি লিখলেন শোভনদেব

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ উপাচার্যের উপর চাপ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ তিনি মেজাজ হারাচ্ছেন। এই আবহেই রবিবার নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপাচার্যদের বার্তা দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, কোনও কিছুতে কান দেবেন না। শুধু নিজেদের কাজ করে যান। এই কাজের ক্ষেত্রেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কতটা এগিয়ে সেটাই দেখবেন আচার্য। তাই আলাদা করে যাদবপুরের উপাচার্যকে ডাকা হয়েছে।