Group D procession: ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিল করতে পারবেন গ্রুপ ডি প্রার্থীরা, রাজ্যের আপত্তি খারিজ হাইকোর্টে

ক্যামাক স্ট্রিটে গ্রুপ ডি প্রার্থীদের মিছিলে আপত্তি জানিয়েও লাভ হল না। রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ করে ওই পথেই গ্রুপ ডি প্রার্থীদের মিছিল হবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের দাবি, ওই রুটে একাধিক স্কুল রয়েছে। মিছিলের ফলে সমস্যা হতে পারে। যদিও মিছিলে স্কুলের সমস্যা হবে না বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, এটি ধর্না নয়, এটি হল মিছিল। রাজ্যের আবেদনের তার ভিত্তিতে আজ রাজ্যের কাছে নতুন রুট জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। তা নিয়ে হলফনামা তলব করেছিলেন বিচারপতি। আদালতে এদিন রাজ্য এদিন হলফনামা জমা দিলে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি। অর্থাৎ গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের পথ অপরিবর্তিত থাকল। হাইকোর্টের পূর্ব নির্ধারিত পথেই মিছিল হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: হাজরায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা, অসুস্থ বেশ কয়েকজন

আগামীকাল রয়েছে প্রার্থীদের মিছিল। এনিয়ে প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। পরে মামলাকারীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতির জয় সেনগুপ্ত আগামীকাল মিছিলের অনুমতি দিয়েছিলেন। নির্দেশ ছিল, বেলা ১ টা থেকে মিছিল শুরু হবে এবং তা শেষ হবে বিকেল পাঁচটায়। থিয়েটার রোডের সংযোগস্থল থেকে মিছিল শুরু হবে। নিজাম প্যালেসের সামনে দিয়ে এক্সাইড মোড়ে এসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড এবং হাজরা মোড় পর্যন্ত যাবে মিছিল।

প্রথমের দিকে কলকাতা হাইকোর্টের নি,র্দেশ মেনে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সোমবার আবার রাজ্য বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। রাজ্যের বক্তব্য, ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিল ঢুকলে সমস্যা হবে। এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তারপরে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে বলেছিলেন  বিচারপতি। 

বিচারপতির প্রশ্ন, ‘যখন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তখন কেন আপত্তি জানানো হয়নি? এখন কেন আপত্তি জানানো হচ্ছে?’ রাজ্যের কৌঁসুলি যুক্তিতে জানান, ওই রাস্তায় শ্রী শিক্ষায়তন সহ চারটে স্কুল রয়েছে। এই স্কুলগুলি ক্যামাক স্ট্রিটের আশেপাশে রয়েছে। ফলে ছুটির সময় মিছিল গেলে সে ক্ষেত্রে তাদের অসুবিধা হতে পারে। 

যদিও মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, ওই রাস্তায় বিশেষ একজনের অফিস রয়েছে। উল্লেখ্য সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস রয়েছে। তাই পুলিশ মিছিল ঢুকতে দিতে চাইছে না। যদিও কোন ব্যক্তির অফিস সে বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেননি। পরে অবশ্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, রাজ্যের তরফে যে চারটি স্কুলের কথা বলা হচ্ছে সেই স্কুলগুলি এই রাস্তায় নেই। ফলে তাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে রাজ্যের আপত্তির ভিত্তিতে কোন রুটে মিছিল গেলে সুবিধা হবে তার ভিত্তিতে মানচিত্র উল্লেখ করে রাজ্যকে হল হলফনামা জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট। তার পরেই হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল।