দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে জল ঢালতে তিন মন্ত্রীকে মধ্যপ্রদেশে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এই তিনজনকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে বিধানসভা ভোটের বৈতরনি পার গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয় সাতজন সংসদকেও টিকিট দিয়েছে তারা।
নভেম্বরে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র দেড়মাস রয়েছে। কিন্তু এখনও দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব তীব্র। সেই তার ঝাঁঝ এতটা বেড়েছে, যে তাকে কমাতে মঙ্গলবার ৩৯ জনের একটি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। এটি দলের দ্বিতী প্রার্থী তালিকা।
কেন এই অন্তর্দ্বন্দ্ব? তার কারণ হিসাবে দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন,’ভোটে জেতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা এর কারণ। এর ফলে দলের অনেক বেশ নেতা ও হেভিওয়েটরা ভোটের কাজকর্ম থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন। ২০০৮ সাল থেকে এই বিষয়টি দলে প্রকট হয়ে ওঠেছে।’
দ্বিতীয় তালিকায় প্রবীণ নেতাদের প্রার্থী করা হয়েছে, যারা শুধু দলের স্বার্থে নয়, নিজেদের রাজনৈতির কেরিয়ার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ভোটে আগ্রহী হবেন। তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী।
(পড়তে পারেন। সরকারি কর্মীদের নাগরিককে অগ্রাধিকার দিতে হবে, ৫১ হাজারনিয়োগপত্র দিয়ে বললেন মোদী)
মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে প্রথমবার বিজেপি তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারস ফাগ্গান সিং কুলান্তে এবং প্রহ্লাদ প্যাটেল-সহ ৭ সাতজন বর্তমান সাংসদকে প্রার্থী করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য, বিজেপি কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও ইন্দোর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
প্রহ্লাদ প্যাটেল এই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর ভাই জালাম সিং প্যাটেলের জায়গায় প্রার্থী নরসিংহপুর আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার রাজ্য গিয়েছেন। ২০২৩-এ বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য চাঙ্গা রাখতে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক দীনেশ গুপ্তার মতে, ‘দ্বিতীয় তালিকায় অমিত শাহরে ছাপ রয়েছে। পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে যিনি একাধিকবার রাজ্যে গিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে হেভিওয়েট প্রার্থী দেওয়া ফলে বিধানসভা ভোটে দলও আত্মবিশ্বাসী বোধ করবে। অন্য দিকে বিজেপি দুটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে কংগ্রেস এখনও একটাও প্রকাশ করতে পারেনি।’