Firecrackers storage: বাজি মজুত রাখার ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের পথে রাজ্য, প্রশ্ন পরিবেশকর্মীদের

সম্প্রতি একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরে বাজি বাজার এবং বাজি মজুতে ব্যবসায়ীদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে কিনা তাই নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। তবে এবার বাজি বাজারের ক্ষেত্রে ৭ দিনের পরিবর্তে কয়েক মাস ধরে প্রতিটি জেলায় একটি করে বাজি বাজার বসানো যাবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জেলায় বাজি মজুত রাখার ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার কলকাতাতে ছাড়পত্র দেওয়ার পথে হাঁটছে প্রশাসন। ঘটনার পরেই কীভাবে রাজ্য ছাড়পত্র দেয়? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মীরা।

আরও পড়ুন: কোথায় কত পরিমাণ জমির ওপর তৈরি হবে বাজি ক্লাস্টার? ঘোষণা করল রাজ্য

সম্প্রতি ছাড়পত্র চেয়ে ব্যবসায়ীরা মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর  কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। সাপ বাজি, ফুলঝরি  এবং বন্দুকে ফাটানো ক্যাপ কম ক্ষতিকর। এগুলির ক্ষেত্রে যাতে ছাড় দেওয়া হয় সেবিষয়ে তারা আবেদন জানিয়েছিলেন। তারপরেই ‘মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস অ্যান্ড টেক্সটাইলস’ (এমএসএমই) দফতর ছাড়পত্র দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পুলিশকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত কালীপুজোর আগে পর্যন্ত এই ধরনের বাজির চাহিদা থাকে। কালীপুজোর সময় অন্য বাজির ব্যবসা বেড়ে যায়। তবে সম্প্রতি একাধিক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ফলে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। তাই ব্যবসায়ীরা ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, কলকাতায় বাজি মজুত রাখার উপরে কড়াকড়ি চলছে। তার ওপর সম্প্রতি দত্তপুকুর, মালদহ, বজবজে একের পর এক ঘটনায় লালবাজার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশ চাইছে যাতে শুধুমাত্র সারা বছর যে সমস্ত দোকানে বাজি বিক্রয় হয় সেখানে এই আইন কার্যকর করা হয়। অন্যান্য দোকানে বাজি বিক্রির বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ। তাছাড়া সাধারণত ৫ কিলোগ্রামের বেশি বাজি বিক্রি করতে গেলে দমকল ও পুলিশের অনুমতি লাগে। তা না হলে সে ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করতে চাইছে লালবাজার। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা পুলিশের কাছ থেকে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘ লকডাউনের সময় তাদের ব্যবসায় চরম ক্ষতি হয়েছে। বাজির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকা জড়িয়ে থাকে। এটা ভেবেই পুলিশের পদক্ষেপ করা উচিত। প্রসঙ্গত, বাজি ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধানে ক্লাস্টার তৈরি করছে রাজ্য। একবার এই ক্লাস্টার সম্পন্ন হলেই আর সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।