রাজকোট: সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছিল ভারত (Indian Cricket Team)। এই ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৬৬ রানে জয় ছিনিয়ে নিল। প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে ৩৫২ রান তুলে নেয় প্যাট কামিন্সের দল। অর্ধশতরান হাঁকান মিচেল মার্শ, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৮৬ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের সেরা হন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল ও সিরিজে সেরার পুরস্কার পান শুভমন গিল।
বড় লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তার ওপর ফর্মে থাকা ২ তারকা ক্রিকেটার শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ড্য দলে ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে এদিন ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা ও ওয়াশিংটন সুন্দর। বিরাট কোহলি দলে থাকলেও ওয়াশিকেই নামিয়ে চমক দেখাল টিম ম্যানেজমেন্টে। ১৮ রান করে সুন্দর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। রোহিত ও বিরাট মিলে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখার চেষ্টা করেন। রোহিত এদিন ৮১ রান করেন। বিরাট করেন ৫৬ রান। ৪৮ রান করেন শ্রেয়স। ব্যাট হাতে রান না পেলেও ৪ উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কে এল রাহুল ২৬ ও রবীন্দ্র জাডেজা ৩৫ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৪ ওভারে ২৮৬ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। দুজনেই এদিন শুরু থেকেই মারমুখি মেজাজে ব্য়াটিং শুরু করেন। ওপেনিং জুটিতে ৭৮ রান বোর্ডে তুলে নেন তাঁরা। ৫৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন বাঁহাতি অজি ওপেনার ওয়ার্নার। তবে এরপর স্মিথের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মার্শ। এদিন ৮৪ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন মার্শ। নিজের ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান মার্শ। স্মিথ ছন্দে ছিলেন এদিন। তবে ব্যক্তিগত ৭৪ রানের মাথায় সিরাজের বলে লিগেবিফোর হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। ৭২ রানের ইনিংস খেলে লাবুশেন আউট হন বুমরার বলে। নিজের ইনিংসে তিনি ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান। লোয়ার অর্ডারে ২২ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন প্যাট কামিন্স। একটি বাউন্ডারি হাঁকান অজি অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান বোর্ডে তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।