Indo-Pacific Armies Meet: ভারতে তৈরি ড্রোন, বন্দুক দেখে চোখ ছানাবড়া বিদেশি রাষ্ট্রের, আসছে বরাত

বিশ্বের ৩০টি দেশের সামনে ভারত তার সমর সরঞ্জাম তুলে ধরল। নিউ দিল্লিতে ১৩তম ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিজ চিফস কনফারেন্স। সেখানেই এই সমরাস্ত্র তুলে ধরে ভারত। মূলত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্র তুলে ধরা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে।

নজরদারির কাজে ব্যবহৃত এরিয়াল ভেহিকেলস, মাল্টি পেলোড ড্রোন,ন্যানো UAV সহ নানা ধরনের সমরাস্ত্র তুলে ধরা হয়। ALS-50 যেটা টাটা অ্য়াডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড তৈরি করেছে সেই অস্ত্রও দেখানো হয়েছে।

গ্রেটার নয়ডার সংস্থা আইডি আর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট দূত ও পারুষ নামে দুটি ন্যানো ইউএভি প্রদর্শন করেছে। কাশ্মীরে জঙ্গি মোকাবিলার জন্য এই নজরদারি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এর ওজন মাত্র ৩৫০ গ্রাম। হাতের তালুর মতো সাইজ। কল্যাণী গ্রুপের ভারত ১৫০ মাল্টি মিশন ড্রোন ও আইডিয়া ফোর্জের সুইচ ইউএভিও রয়েছে তালিকায়।

কল্যানী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমের MaRG 155 mm-52 ক্য়ালিবারের বন্দুকও দেখানো হয়েছে। ভারত ১৫৫ এমএম-৫২ ক্য়ালিবারের আল্ট্রা লাইট হাউয়িৎজার, গারুরা ১০৫ এমএম ৩৭ ক্যালিবারের বন্দুক, দূরপাল্লার নজরদারি সিস্টেম, মানববিহীন গাড়ি প্রদর্শিত হয়েছে। এক আধিকারিকের কথায়, এই যে সরঞ্জামগুলো দেখানো হয়েছে তার মান এতটাই ভালো যে তা বিদেশে রফতানি করা যাবে। ইন্দো প্যাসিফিক কিছু দেশের সেনা অত্যন্ত আগ্রহী এগুলি নিয়ে।

এখন আত্মনির্ভর ভারত। অন্তত ৮৫টি দেশে ভারত এখন অস্ত্র রফতানি করে। ১০০টি ফার্ম এতে নিয়োজিত রয়েছে। মিসাইল , বন্দুক, রকেট, গাড়ি, রক্ষাকবচ, রাডার,নজরদারি সিস্টেম সহ নানা সরঞ্জাম যায় বিদেশে। ২০২৪-২৫ সালে ভারত অন্তত ৩৫,০০০ কোটির অস্ত্র রফতানির টার্গেট নিয়েছে। ২০১৩-১৪ সালের তুলনায় ভারতের অস্ত্র রফতানি প্রায় ২৩ গুণ বেড়ে গিয়েছে। আগে ছিল ৬৮৬ কোটির। আর এখন হয়েছে ১৬,০০০ কোটির। আর ২০১৮-১৯ এর তুলনায় আমদানি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কমেছিল প্রায় ৩৬.৭ শতাংশ।