PIL: জনস্বার্থ মামলার অনুমতি, ভাইপো মন্তব্যে বিচারপতিকে বিঁধতে গিয়ে বড় বিপদে কুণাল!

বিচারপতির ভাইপো মন্তব্যকে ঘিরে নানা আলোচনা হয়েছে বাংলায়। তবে এবারই প্রথম নয়. বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় একাধিক মন্তব্য়কে ঘিরে অতীতে চর্চা হয়েছে বঙ্গ জীবনে। তবে তারই পালটা দিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর আইনজীবীদের একাংশের মতে সেই কুণালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার জন্য় আবেদন করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তবে এবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর বেঞ্চ জানিয়েছে, জনস্বার্থ মামলা করা যাবে এনিয়ে।

তবে অনেকের মতে, কুণাল ঘোষ এই প্রথম বিচারপতিদের সম্পর্কে এমন কুকথা বললেন এমন নয়। তিনি মাঝমধ্য়েই বিচারপতিদের রায় , তাঁদের পর্যবেক্ষণ নিয়ে নানা কটূ কথা বলেন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এনিয়ে নানা সমালোচনা করা হয়। তবে রেশ ফুরিয়ে যেতেই আবার বিচারপতিদের নিশানা করে নানা আপত্তিকর কথা বলেন কুণাল। তবে এবার একেবারে কার্যত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন কুণাল।

আসলে গত ২২ সেপ্টেম্বর কোভিডে মৃত এক ব্যক্তির ক্ষতিপূরণের মামলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, এক কে ভাইপো আছেন, তাঁর বাড়ি চারতলা। কোভিডে মৃত্যুর পরেও চাকরি হয় না। অথচ ভাইপোর বাড়ি কোটি টাকার। কোথা থেকে আসে এত টাকা?

এরপরই বরাবরের মতোই আসরে নামেন কুণাল। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, বিচারপতির চেয়ারে বসে যা ইচ্ছে বলা যাবে? রাজনীতি করা যাবে? গাঙ্গুলি ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি করুন। লিখেছিলেন কুণাল।

তবে এবার বিচারপতিদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য নিয়ে তরুণজ্যোতির মামলা অন্যদিকে মোড় নিল। জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিল আদালত। এবার কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা হয় কি না সেটাই দেখার।

এদিকে বঙ্গবাসীর একাংশের মতে, বিচারপতির চেয়ারে বসে যা খুশি বলা যায় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু শাসকদলের মুখপাত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসে কি বিচারপতিদের নাম উল্লেখ করে এভাবে মন্তব্য করা যায়? এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে কোনও রায় অপছন্দ হলেই বিচারপতিদের নাম উল্লেখ করে রে-রে করে উঠছেন তৃণমূলের নেতারা। এটা কতটা শোভনীয় সেই প্রশ্নও উঠছে এবার।