পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ যুবক, দায় নিতে নারাজ দল

খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ১ যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থানা এলাকার। পর পর একই ধরণের ঘটনায় জেলায় নাবালিকা ও ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, বুধবার বিকেলে ১২ বছর বয়সের ওই কিশোরী বাড়ি পাশে খেলছিল। তখন বাসুদেব জাতুয়া নামে স্থানীয় এক যুবক তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে ফাঁকা মাঠে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। সেই সময় পাহারা দিচ্ছিল অভিযুক্ত বাসুদেবের এক বন্ধু।

বাড়ি ফিরে নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়ে। কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তখন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ঘটনার বর্ণনা দেয় নাবালিকা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতেই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে নাবালিকার বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে ডায়মন্ড হারবার আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

অভিযুক্ত বাসুদের জাতুয়া তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। অভিযুক্তের পরিবার অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাদের চাপ দিচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, ধর্ষণের সময় যে যুবক পাহারা দিচ্ছিল তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

এই ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি ও বাম। তাদের দাবি, তৃণমূল জমানায় ধর্ষকের শাস্তি হয় না। তাই এই ধরণের অপরাধ প্রতিদিন বাড়ছে। তৃণমূল নেতারা মুখ বন্ধ রেখে এই সব কাজে প্রচ্ছন্ন মদত দিচ্ছেন। পালটা তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের প্রায় সবাই তৃণমূলকে সমর্থন করে। তাই বলে কারও কৃতকর্মের দায় দলের হতে পারে না।