Earphone from stomach: কোনও দোকান নয়, রোগীর পেট থেকেই মিলল ইয়ারফোন, লকেট, আংটি, সেফটিপিন..…

ইয়ারফোন, লকেট, আংটি, সেফটিপিন, নাট নাট বোল্ট, স্ক্রু, কী নেই! সাধারণত এগুলি একসঙ্গে কোনও হরেক মালের দোকানে পাওয়া যায়। তবে একোনও দোকান নয়, এক ব্যক্তির পেট থেকেই উদ্ধার হল এই সমস্ত জিনিস। এমনই অদ্ভুত এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবের মেগা জেলায়। ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির পাকস্থলী থেকে চিকিৎসকরা এগুলি উদ্ধার করেন। আপাতত ওই ব্যক্তি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন ঘটনায় হতবাক সকলেই।

আরও পড়ুন: রোগীর পেট কাটতেই বের হল ২৫০ টি পেরেক, ৩৫ টি কয়েন ও পাথর! হতবাক চিকিৎসকরা

জানা গিয়েছে, গত ২ বছর ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষে তাঁকে মেগা জেলার মেডিসিটি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে চিকিৎসকরা তার পেটের ব্যথার কারণ জানতে পারেননি। এরপর রোগীর পেটের এক্স রে করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেইমতো রোগীর এক্স রে করা হয়। কিন্তু, তারপরে পেটে যা দেখা যায় তাতে কার্যত হতভাগ হয়ে যান চিকিৎসক থেকে শুরু করে পরিবারের সকলেই। তখনই জানা যায় ওই ব্যক্তির পেট ব্যথার আসার কারণ। ওই ব্যক্তির পাকস্থলীতে প্রচুর ধাতব জিনিস দেখতে পেয়ে চিকিৎসকরা দেরি না করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।

প্রায় ৩ ঘণ্টার অপারেশনের পর ওই ব্যক্তির পেট থেকে এই ধরনের জিনিস বের করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, ২ বছর ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন এই ব্যক্তি। এই রোগী যখন তার কাছে আসেন, তখন তিনি পেটে ব্যথা, জ্বর ও বমিতে ভুগছিলেন। যখন এক্স রে এবং স্ক্যান করা হয় তখন পেট ব্যথার কারণ জানা যায়।তিনি জানান, তাঁর কর্মজীবনে প্রথমবার এমন ঘটনা তিনি দেখেছেন। ওই হাসপাতালেও এই ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। তিনি জানান, তিন ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারের পর এই সব জিনিস বের করা হয়েছে। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই জিনিস পেটে থাকায় রোগীর অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোগীর মানসিক সমস্যা ছিল। সেই কারণে গত কয়েক বছর ধরে একটি একটি করে ইয়ারফোন, আংটি গিলে ফেলেছিলেন ওই রোগ। সেই কারণে তার পেটে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও অনেক রোগীর পেট থেকে যেমন কয়েন উদ্ধার হয়েছে তেমনি উদ্ধার হয়েছে পেরেক। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের ধাতু পাওয়া গিয়েছে রোগীর পেট থেকে। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, এগুলি এক ধরনের মানসিক রোগ। যাতে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা এই ধরনের কিছু খেয়ে ফেলেন। পঞ্জাবের ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছিল বলে অনুমান।