Venus Mission: চাঁদের পর এবার শুক্র অভিযান? মহাকাশে রাজ করবে ভারত, ঘুঁটি সাজিয়ে ফেলল ISRO

সংস্কৃতি ফালোর

চাঁদে পা রেখেছে ভারত। সূর্যের দিকেও হাত বাড়িয়েছে দেশ। এবার পরের মিশন হতে পারে ভেনাস অর্থাৎ শুক্র গ্রহ। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান এস সোমনাথ মঙ্গলবার ঘোষণা করে দিয়েছেন, এবার ভারতের মিশন হতে পারে শুক্র গ্রহের দিকে। সৌর জগতের সবথেকে উজ্জ্বলতম গ্রহ। ইতিমধ্য়েই এনিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের অগস্ট মাসে চন্দ্রযান ৩-এর অভিযান সফল হয়েছে। তারপরই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল সায়েন্স আকাদেমিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আমাদের একাধিক মিশন রয়েছে পরিকল্পনার স্তরে। ভেনাস মিশন নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই গ্রহকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ভেনাস বেশ ইন্টারেস্টিং প্ল্য়ানেট। এটার একটা আবহাওয়ামণ্ডল রয়েছে। এর আবহাওয়া মণ্ডলটা বেশ ঘন। এর আবহাওয়ার চাপ পৃথিবীর থেকে প্রায় ১০০ গুণ বেশি। পুরো অ্যাসিডে ভর্তি। এই সারফেসের মধ্য়ে প্রবেশ করা বেশ কষ্টকর। এই সারফেসটা শক্ত নাকি নরম সেটাও ঠিকঠাক জানা নেই। কেন এটা আমাদের বুঝতে হবে? একদিন পৃথিবীও শুক্র গ্রহের মতো হয়ে যেতে পারে। আমি এনিয়ে কিছু জানি না। হয়তো ১০,০০০ বছর পরে আমাদের গ্রহের চরিত্রগতভাবে বদল হতে পারে। দেখুন পৃথিবী আগে এমনটা ছিল না। বহু বছর আগে এখানে থাকার মতো পরিস্থিতি ছিল না।

সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ হল শুক্র গ্রহ। এটা সোলার সিস্টেমের খুব নিকটতম গ্রহ। একে পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলেও উল্লেখ করা হয়।

২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এই ভেনাস মিশন শুরু করেছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল ভেনাস এক্সপ্রেস। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই ভেনাস মিশন চলেছিল। অন্যদিকে জাপানের পক্ষ থেকেও একটা সময় এই শুক্র অভিযান চালানো হয়েছিল। সেটা মোটামুটি ২০১৬ সাল পর্যন্ত চলেছিল।

তবে এর আগে নাসা একাধিকবার শুক্র অভিযান করেছে। ২০২২ সালে তারা ঘোষণা করেছিল ২০২১ সালের ফ্লাইবাই মিশনের মাধ্য়মে তারা শুক্রের ছবি ধরে ফেলেছে। এরপর নাসার পরবর্তী মিশন হল ২০২৯, ২০২৩০ ও ২০৩১ সালে হবে।

তবে ইসরো শুধু চাঁদে নয়, এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইসরো আদিত্য এল-১ স্পেসক্রাফট পাঠিয়েছিল সূর্য সম্পর্কে আরও জানার জন্য।