Canada Row: মার্কিন কর্তা ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কথা জয়শঙ্করের, কানাডা বিতর্কে নয়া মোড়, তুললেন পুরানো দ্বন্দ্বের কথাও!

পৌলমী ঘোষ

কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী শুক্রবার নিশ্চিত করে দিয়েছেন, কানাডা বিতর্ক নিয়ে তিনি জেক সুলিভান ও মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওয়াশিংটনে তিনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কথা বলেন। আসলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মন্তব্য করেছিলেন খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় ভারতের এজেন্টের হাত রয়েছে। এরপরই এনিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্য়ে কূটনৈতিক সংকট শুরু হয়ে যায়। তবে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, আমি কথা বলেছি। তারা মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছেন। গোটা পরিস্থিতির মূল্যায়ন সম্পর্কে জানিয়েছেন। আমি তাদেরকে কিছু কথা বলেছি।

জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী কিছু মন্তব্য করেছেন। প্রথমদিকে তিনি ঘনিষ্ঠমহলে বলেছিলেন। পরে সকলের সামনে বলেছেন। আর আমাদের যে জবাব সেটা প্রাইভেট ও পাবলিক দুটো স্তরেই হয়েছে।তিনি যে অভিযোগটা করেছেন সেটা আমাদের নীতির মধ্যে পড়ে না। তাদের কাছে যদি কোনও নির্দিষ্ট তথ্য় থাকে সেটা আমাদের জানাতে পারেন। এই সময় এই কথোপকথটাই রয়েছে।

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এটা আপনাদের বুঝতে হবে বহু বছর ধরে এই দ্বন্দ্বটা থেকে গিয়েছে। সেটা সেই ১৯৮০ সাল থেকে রয়েছে। তবে সেটা সুপ্তভাবে ছিল। তবে আমরা দেখছি কানাডা গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী যারা হিংসাকে আশ্রয় করে তাদের প্রতি একটু অন্য়রকম মনোভাব দেখাচ্ছে। কানাডার রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে তারা ওদের কানাডায় কাজ করতে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমেরিকানদের কাছে কানাডাটা অন্যরকম। আবার ভারতের জন্য অন্যরকম যেখানে সংগঠিত দুষ্কৃতী যারা ভারত থেকে গিয়েছে তাদের কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। …আর আজ আমরা এমন একটা জায়গায় রয়েছি যে আমাদের কূটনীতিবিদরা কানাডার দূতাবাসে বা কনস্যুলেটে যেতে ভরসা পাচ্ছেন না। সাময়িকভাবে কানাডায় যাওয়ার ভিসা স্থগিত রাখতে আমরা বাধ্য হয়েছি। কোনও একটা দেশকে আপনি কীভাবে দেখছেন তার উপর অনেকটা নির্ভর করে, তবে কানাডা নিয়ে আমাদের সেই সমস্যাটা রয়েছে।