Dhupguri: শনিবারের বারবেলায় শপথ নেবেন ধূপগুড়ির বিধায়ক, রাজভবনের অনুষ্ঠানে যেতে চাইছেন না বিমান-শোভন

ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। ৪৪০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। গত ৮ সেপ্টেম্বর ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি শপথ নিতে পারেননি। মূলত রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতের জেরে তিনি শপথ নিতে পারেননি। তবে অবশেষে শনিবার শপথ নেবেন তিনি।

তবে সেটা বিধানসভায় নয়। তিনি শপথ নেবেন রাজভবনে। সেখানে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সূত্রের খবর ওই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকতে পারেন স্পিকার ও পরিষদীয় মন্ত্রী।

কার্যত পদে পদে হোঁচট। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েও নির্মলচন্দ্র গাড়ি পাননি। শেষ পর্যন্ত তিনি অ্য়াপ ক্যাব ভাড়া করে বিমানবন্দর চত্বর থেকে বের হন।

অন্যদিকে শনিবার বিকালে রাজভবনে শপথ নেবেন নির্মলচন্দ্র রায়। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ শপথ নেবেন তিনি। সেখানে নিয়ম রক্ষার জন্য উপমুখ্যসচেতক তাপস রায় উপস্থিত থাকবেন বলে খবর। তবে ধূপগুড়ির নির্বাচনকে ঘিরে যেমন পরতে পরতে ছিল নানা ঘটনা। তেমনি শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে একপ্রস্থ নাটক হতে চলেছে। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। খবর এমনটাই। তবে কি রাজভবনে শপথের অনুষ্ঠানকে এড়িয়ে যেতে চাইছেন দুজনেই?

শেষ পর্যন্ত জল কতটা গড়ায় সেটাই দেখার। কার্যত শনিবার তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত ঘটনাবহুল দিন হতে চলেছে। একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। শেষ পর্যন্ত অভিষেক না গেলে ইডি ঠিক কোন পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার। অন্যদিকে দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রেও পদে পদে বাধা। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার। আদৌ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা দিল্লিতে যেতে পারেন কি না তা নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছে। সেই সঙ্গেই রয়েছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সেই শপথ হবে রাজভবনে। কিন্তু সংঘাতের আবহের মধ্যে সেখানে শাসকদলের কতজন থাকবেন সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই।