Durga Pujo: ‘চাকরি মেলে না, অথচ ক্লাবে পুজো অনুদান ৭০ হাজার!’ ফুঁসে উঠলেন বিচারপতি

এবছর রাজ্যের ক্লাবগুলোতে পুজোর অনুদান ৭০ হাজার টাকা। গত বছর ছিল ৬০ হাজার টাকা। এবার একলাফে বেড়ে ৭০ হাজার হয়ে গিয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন যে রাজ্য ধারে ডুবে রয়েছে বলে দাবি করা হয়, অর্থের টানাটানি লেগেই রয়েছে সেই রাজ্যের কোষাগার থেকে কীভাবে ক্লাবের জন্য় অনুদান মেলে সেটাই রহস্যের। এবার সেই প্রসঙ্গ সামনে আনলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

কার্যত সাধারণ মানুষের মনের প্রশ্নটাই যেন উঠে এল বিচারপতির মুখে। দুর্গাপুজোর অনুমতি সংক্রান্ত একটি মামলা ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তমলুকের একটা দুর্গাপুজোর অনুমতি সংক্রান্ত মামলা। সেখানে বিচারপতি জানতে চান, কতগুলি পুজো হয়? তমলুক পুরসভার আইনজীবীর জবাব, ৪০-৫০টি দুর্গাপুজো হয়।কালীপুজো ২০০-২৫০টি হয়। এরপর বিচারপতি অমৃতা সিনহা কার্যত পুজো অনুদান নিয়ে ফুঁসে ওঠেন। তিনি জানিয়েছেন, মানুষ পেনশন পাচ্ছেন না, বেতন পাচ্ছে না, চাকরি পাচ্ছে না, এনিয়ে রোজ মামলা আসছে, আর দুর্গাপুজোয় ক্লাব পিছু ৭০ হাজার?

একদিকে আর্থিক কারণে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে না পারা অন্যদিকে হাজার হাজার টাকার পুজো অনুদান।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জমানাতেই গত কয়েকবছর ধরে পুজো অনুদান দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে আগেই বলেছিলেন, আগে তো কোনও ক্লাবকে কেউ সাহায্য করত না। আমার মাথায় এই চিন্তাটা আসে।

কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় এই বিপুল অনুদান। কিন্তু সরকারি টাকা দিয়ে কীভাবে ক্লাবকে পুজো অনুদান দেওয়া হয় তা নিয়ে বিতর্কটা কোনও অংশে কমেনি। তবে অনেকের মতে, ক্লাবকে হাতে রাখার জন্য সরকারের এই ভাবনা। তাছাড়া একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল সরকার তোষণ করে বলে যে অভিযোগ রয়েছে সেটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যও দুর্গাপুজোতে এই বিপুল অনুদানের ভাবনা।

তবে এবার এই পুজো অনুদান প্রসঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, মানুষ পেনশন পাচ্ছেন না, বেতন পাচ্ছে না, চাকরি পাচ্ছে না, এনিয়ে রোজ মামলা আসছে, আর দুর্গাপুজোয় ক্লাব পিছু ৭০ হাজার?