মুখ পুড়িয়েছে মনোজিৎ, চাকরির নামে টাকা তোলায় সাত তাড়াতাড়ি সাসপেন্ড পুলিশের ২

কোটিপতি কন্সটেবল মনোজিত বাগীশের কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে মুখ পুড়েছে রাজ্য পুলিশের। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ো কি এবার আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে কড়া হল পুলিশ? চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে জলপাইগুড়ি জেলায় ক্লোজ হলেন ১ হোমগার্ড ও ১ কন্সটেবল। ঘটনার কথা স্বীকার করলেও এ নিয়ে বেশি উচ্চবাচ্য করতে চাননি পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে।

চাকরি নেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনের হোমগার্ড দেবাশিস দেবনাথ ও রাজগঞ্জ থানার কন্সটেবল সুশান্ত চক্রবর্তীকে ক্লোজ করেছে জেলা পুলিশ। দেবাশিসের বাড়ি ময়নাগুড়িতে। জলপাইগুড়ি ও লাগোয়া আলিপুরদুয়ার জেলার বেশ কিছু যুবকের অভিযোগ, বিভাগীয় কমিশনারের বাংলোয় চাকরি করায় নিজেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে দাবি করতেন দেবাশিস। একথা বলে এলাকা থেকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা টাকা তুলেছে সে। প্রায় আড়াই বছর ধরে চলছে তার কারবার। টাকা দিয়েও শেষ পর্যন্ত চাকরির ডাক না আসায় দেবাশিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। দেবাশিস জানান, টাকা পুলিশের ওপরমহলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। এর পর ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত এক যুবক। শুক্রবার অভিযুক্তকে কোতয়ালি থানায় ডেকে জেরা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। চাকরি দেওয়ার নাম করে এক একজনের কাছ থেকে তিনি ৬ – ৮ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন বলে অভিযোগ।

একই অভিযোগ উঠেছে রাজগঞ্জ থানার কন্সটেবল সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তিনি এক যুবকের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

চলতি মাসে প্রকাশ্যে আসে রামপুরহাট থানার কন্সটেবল মনোজিৎ বাগীশের কীর্তি। সামান্য কন্সটেবল পদে চাকরি করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। এমনকী বান্ধবীকে কিনে দিয়েছেন ১২ লক্ষ টাকার গাড়ি। তাঁর অ্যাকাউন্টে পাচার করেছেন প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। আর পুলিশ নয়, তাঁকে ধরেছে দুর্নীতিদমন শাখা। যাতে পুলিশের মুখ পুড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এর পর আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপারের অফিসের এক কন্সটেবলের বিরুদ্ধে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভাতার প্রায় ৯.৫ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। পর পর এই ঘটনায় পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা ধাক্কা খেতে পারে ভেবেই কি কড়া পদক্ষেপ করা শুরু করল বাহিনী? উঠছে প্রশ্ন।