Club Donation: ক্লাবগুলি আর কোনও অনুদান পাবে না, সরকারি দানছত্রে লাগাম টানল মমতার সরকার

রাজ্যের কোষাগারে নাকি একেবারে টানাটানি অবস্থা। একথা একাধিক সময় শাসকদলের শীর্ষ নেতারাই জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও ক্লাবেদের জন্য দরাজ হস্ত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার। তবে এবার সেই রাস্তা থেকে কিছুটা হলেও সরে যাচ্ছে বাংলার সরকার। এবার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্য়ের ক্লাব সংগঠনগুলি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য় আর কোনও টাকা পাবে না। 

কিন্তু কেন আচমকা এই দানছত্রের লাগাম টানা হল? 

মনে করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের শর্ত ছিল সরকারি অনুদানের টাকায় ক্লাব কী কাজ করেছে তার খরচের হিসেব দিতে হবে। কিন্তু বহু ক্লাব এই হিসেব জমা দিতে পারেনি। এরপরই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় এই অনুদান আর দেওয়া হবে না ক্লাবগুলিকে। 

তবে প্রথম থেকেই সরকারি এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। জনগণের করের টাকায় কেন ক্লাবকে সহায়তা দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে সরকারের যুক্তি ছিল ক্লাবের মাধ্য়মে নানা ধরনের সামাজিক কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে এবার সেই অনুদানেও লাগাম টানা হল। 

তবে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকার ক্লাবগুলিকে সরকারি কোষাগার থেকে অনুদান দেওয়া শুরু করে। বিরোধীরা বলেছিলেন, ক্লাবগুলিকে নিজের হাতে রাখার জন্য এই কাজ করছে সরকার। কারণ ক্লাবগুলি হাতে থাকলে পাড়ায় পাড়ায় শাসকদল প্রভাব ফেলতে পারবে সহজেই।

প্রথমদিকে ৭৮১টি ক্লাব এই অনুদান পেয়েছিল। সেই সময় খরচ হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা। প্রথম বছর এককালীন ২ লাখ টাকা ও পরবর্তী তিন বছর ১ লাখ করে পেত ক্লাবগুলি। তবে এবার সেটাও বন্ধ। তবে  টাকা পাওয়ার পরে রাতারাতি রাজ্যের বহু ক্লাব বিল্ডিং তৈরি করে ফেলেছিল। পরের বছরগুলিতে ১৫০০ ক্লাবকে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। অনুদান বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ কোটি টাকা। 

তবে এবার ক্লাবগুলিকে অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত কতদিন বজায় রাখতে পারে সরকার সেটাই দেখার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোট এলেই আবার ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার  ঘোষণা হয় কি না সেটাই দেখার।