Hilsa fish price in Kolkata: পদ্মার ইলিশ কই? বাজারে হন্যে হয়ে খুঁজছে বাঙালি, উত্তর এল, হিমঘরে

খবরে পড়ছেন বাংলাদেশের ইলিশ আসছে বাজারে,  কিন্তু মিলছে কই? ব্যাগ নিয়ে বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। ইলিশ মিলছে বটে তবে তা ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, কোলাঘাটে ও দিঘার। সাইজেও বেশ ছোট। বাংলাদেশের ইলিশের দেখা না পেয়ে অগত্যা মুখ ব্যাজার করেই বাজার থেকে ফিরতে হচ্ছে। 

কোথায় গেল বাংলাদেশের ইলিশ? কলকাতা ও হাওড়ার কোনও কোনও বড় মাছ ব্যবসায়ী বাংলাদেশের ইলিশ তুললেও তার দাম শুনে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। দাম পড়ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। 

(পড়তে পারেন। বিরাট চাপে পড়ে গেল বন দফতর, এলিফ্যান্ট সাফারি নিয়ে এখন মাথায় হাত)

(পড়তে পারেন। চিতাবাঘের আতঙ্ক ঘুমে কড়েছে ফাঁসিদেওয়ার, জঙ্গল সাফাইয়ে সমাধান খুঁজছে প্রশাসন)

এর আগে বাংলাদেশে জানিয়েছিল ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৩৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হবে। ৭৯ ব্যবসায়ী ৫০টন করে ইলিশ পাবে। এরই মাঝে ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ২২ দিনের জন্য। ফলে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আগে নির্দিষ্ট করে দেওয়া পরিমাণ ইলিশ ঢুকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। 

তবে হাওড়ার পাইকারি বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকছে। কিন্তু তা আর খুচরো বাজারে পৌঁছছছে না। মৎসব্যবাসীরা জানাচ্ছেন, পাইকারি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারে হাত ঘুরে মাছ চলে যাচ্ছে হিমঘরে। যা বেরোবে জামাইষষ্ঠী ও অন্যান্য পার্বণের সময়। কিছু মাছ মজুত রাখা হচ্ছে বড় হোটেল ও রেস্তোঁরার জন্য। পরে বেশি দামে ছাড়া হবে বলে। আর সে কারণের বাজারে আসছে না বাংলাদেশের ইলিশ। 

গড়িয়াহাটের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের কেজি প্রতি মাছে দাম পড়ে যাচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০টাকা। সেই মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০০ হাজার টাকায়।’ এত দাম দিয়ে কে মাছ কিনবে। পুজোর সময় চাহিদা বুঝে আরও দাম বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছেন মৎসব্যবসায়ীরা। 

(পড়তে পারেন। করোনার মতো ডেঙ্গিতেও ‘স্পর্শকাতর’ এলাকায় চিহ্নিত করল KMC, চলবে বাড়তি নজরদারি)

(পড়তে পারেন। ‘শারদীয়ার আন্তরিক শুভনন্দন’, মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি শব্দ এখন সরকারি হোর্ডিংয়ে)

তবে বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ না মেলার কারণ হিসাবে মজুতদারিকেই দায়ী করছেন তারা। ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে বন্ধ হবে ইলিশ ধরা। ফলে পুজোর সময় ইলিশ খেতে হলে হিমঘরে রাখা মাছই খেতে হবে  আকাশ ছোঁয়া দাম দিয়ে।