Question Raised On Future Of Vision 2020 Project Started By Sourav Ganguly In CAB AGM, Know In Details

কলকাতা: বাংলা থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) উদ্যোগে শুরু হয়েছিল ভিশন ২০২০ শিবির। যে প্রকল্পে কোচেদের নামের তালিকা এক সময় হইচই ফেলে দিয়েছিল। ওয়াকার ইউনিস, মুথাইয়া মুরলীধরন ও সৌরভ স্বয়ং। পরে ওয়াকারের জায়গায় পেসারদের কোচিংয়ের দায়িত্বে এসেছিলেন টি এ শেখর। সৌরভের জায়গায় পরে ব্যাটিং কোচ হন ভি ভি এস লক্ষ্মণ।

কিন্তু সেই ভিশন ২০২০ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দিনকয়েক আগে সিএবি-তে সাংবাদিক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সময়ের অভাবে এবার আর ভিশন ২০২০ শিবির করা যাবে না। পরে অন্য কোনও নামে প্রকল্প ফেরানো হতে পারে। তবে ভিশন ২০২০ প্রকল্প বন্ধ হল কেন, তা নিয়ে শনিবার সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায় (AGM) ঝড় উঠল।

শনিবার বাইপাসের ধারে এক হোটেলে সিএবি-র এজিএম ছিল। সেখানে সিএবি-র প্রাক্তন যুগ্মসচিব ও কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে প্রশ্ন তোলেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভিশন ২০২০ প্রকল্পের কী হল? বৈঠকে তখন হাজির সৌরভ স্বয়ং। খুব একটা সদুত্তর বিশ্বরূপ পেয়েছেন, এমন খবর নেই। শোনা গেল, সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস নাকি জানিয়েছেন, অনেক টাকা খরচ করে সারা বছরই ক্রিকেটারদের ট্রেনিং প্রোগ্রাম করা হচ্ছে। রাজ্যে তৃণমূল স্তরে ক্রিকেটের উন্নয়নে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাব ডিভিশন ক্রিকেট ফের চালু করার দাবি তুলেছেন বিশ্বরূপ। পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর পি সেন ট্রফি ফের চালু করায় সিএবি-কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন বর্তমানে রাজ্যের শাসক দলের কাউন্সিলর।

শনিবারের সভার শুরুতেই প্রাক্তন সচিব বাবলু কোলে প্রশ্ন তোলেন, ২১ দিন আগে এজিএমের নোটিশ পাঠানো হলেও কেন গঠনতন্ত্র মেনে সদস্যদের কাছে বার্ষিক ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট ও অ্যানুয়াল রেকর্ড পাঠানো হয়নি। তাতে সভায় যোগ দেওয়ার আগে প্রস্তুতিতে সমস্যা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সামনেই ওয়ান ডে বিশ্বকাপ (ODI World Cup)। সেমিফাইনাল-সহ মোট পাঁচ ম্যাচ আয়োজনের বরাত পেয়েছে ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens)। তার জন্য একটি আয়োজক কমিটি গঠন করেছে সিএবি। কিন্তু সেই কমিটিতে জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই বলে জানান নদিয়া জেলার প্রতিনিধি অর্ধেন্দু ঘোষ। জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন সদস্যের মধ্যে থেকে কাউকে ওই কমিটিতে রাখার কথা ভেবে দেখার কথা বলেছেন তিনি।

এজিএমে সিএবি-র তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের আয় থেকে অনুমোদিত সংস্থাগুলিকে ৩ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। তবে প্রশ্ন উঠেছে গাড়ি ও খাবারের খরচ নিয়ে। দেখা গিয়েছে, গত আর্থিক বর্ষে গাড়ির পিছনে মোট ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে সিএবি-র। খাবারের জন্য খরচ হয়েছে ৪২ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। গত আর্থিক বর্ষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের থেকে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা পেয়েছে সিএবি। যা তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বেশি।

আরও পড়ুন: স্পিনারদের হাতে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ ভাগ্য, তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেন রশিদরা?

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন

https://t.me/abpanandaofficial