‘‌আমরা দেখতে চাই কত লক্ষ লোক ভাইপোর ডাকে গিয়েছে’‌, খোঁচা দিলেন শুভেন্দু

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আবাস যোজনা’র বাড়ি মেলেনি। তাই মাটির বাড়িতেই দিন কাটাতে হচ্ছে মানুষজনকে। এই আবহে নিম্নচাপের বর্ষায় মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে গিয়ে শনিবার বাঁকুড়ায় তিনজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলে নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সোচ্চার হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ এবং ৩ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে একশো দিনের কাজের টাকা থেকে বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলন করার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেকের সঙ্গে আছেন বাঁকুড়ার মৃত ৪ জন পরিবারের সদস্যরা। এই কর্মসূচিকেই কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিকে রবিবার উত্তর হাওড়ায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে সামিল হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মনরেগা কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‌জোর করে দিল্লিতে লোকেদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দিল্লিতে নাকি ১০ লক্ষ লোক যাওয়ার কথা। কালকে আমরা দেখতে চাই কত লক্ষ লোক ভাইপোর ডাকে গিয়েছে। কলেজের ইউনিয়নের সদস্য সেও উড়োজাহাজে চড়ে যাচ্ছে। পোড়া বিড়ি যাদের জুটত না, গিঁট দেওয়া টায়ারের সাইকেল যারা চালাত তারাও উড়োজাহাজে দিল্লি যাচ্ছে। এটা কি বাংলা তৈরি হয়েছে?‌ গোটা তৃণমূল মানেই প্রতিষ্ঠিত চোর। রাজ্যের সব বাজারে ছোট ছোট অফিস খুলে রেখেছে, পৌরনিগম ৫ টাকা পেলে তৃণমূল ১০ টাকা পায়। মমতা এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির সংস্থা খোলা হয়েছে।’‌

অন্যদিকে অন্যদিকে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা মিথ্যে অভিযোগ লিখে একশো দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। আর শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‌কেন্দ্রীয় আবাস যোজনাতে ৫০ লক্ষ বাড়ি প্রধানমন্ত্রী বাংলাতে দিয়েছেন। যার মধ্যে চুরি ও দুর্নীতির জন্য ১১ লক্ষ বাড়ি আটকে আছে। তাছাড়া দিল্লির লোকেরা জানে এখানে কি হচ্ছে। তাই এই নিয়ে তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।’‌ কলকাতা বিমানবন্দরে নয়াদিল্লি রওনা হওয়ার আগে অভিষেক বলেন, ‘‌কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে যাঁরা বারবার বাংলার টাকা আটকানোর কথা বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। গ্রেফতার করা হোক সবাইকে। এমনকী গিরিরাজ সিংকেও গ্রেফতার করা উচিত। যাঁরা বাংলার মানুষের প্রাপ্য আটকানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের হাতে রক্ত লেগে আছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌গিরিরাজ সিংকে গ্রেফতার করা উচিত’‌, নয়াদিল্লির যাওয়ার আগে সোচ্চার অভিষেক

আর কী বলছেন শুভেন্দু?‌ ক্লাবগুলিকে দুর্গাপুজোর অনুদান দেওয়া হয় প্রত্যেক বছর। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‌প্রথমে দেওয়া ১৫ হাজার ক্লাবের মধ্যে ৭ হাজার ক্লাব ভুয়ো। ওই টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা ঝেড়ে দিয়েছে। মালকিন ৭০ হাজার টাকা দিচ্ছে দেখে এখানকার লোকেরাও হাওড়ার ক্লাবদের অনুদান দিচ্ছেন। হিন্দুদের দুর্গাপুজোকে উনি সামাজিক উৎসবে পরিণত করতে চাইছেন। তাই ক্লাব প্রতিষ্ঠানে টাকা দিয়ে উনি কিনতে চাইছেন।’‌ এরপরই নয়াদিল্লির কর্মসূচি নিয়ে শুভেন্দু খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‌যন্তরমন্তরে আপনারা এপাং অপাং ঝপাং সারাদিন যা খুশি করুন। কিন্তু বাইরে এসে অসভ্যতা করলে সেখানে বিনীত গোয়েল, মনোজ মালব্য, প্রবীণ ত্রিপাঠী নেই। ওখানে দিল্লি পুলিশ আছে। আর দিল্লি পুলিশের লাঠি ৬ ফুট লম্বা।’‌