কম দামে টিসিবির পণ্য পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন

দিনাজপুরের হিলিতে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাজার মূল্যের চেয়ে খানিকটা কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেয়ে দারুণ খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন। তবে চিনি না পাওয়ায় অনেকে ক্ষোভ জানিয়েছেন।

রবিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় হিলি স্থলবন্দরের চারমাথা মোড়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত। এ সময় সেখানে ট্যাগ অফিসার হিসেবে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মাহেবুর রহমান, প্যানেল মেয়র মিনহাজুল ইসলাম ও টিসিবি ডিলার আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

পণ্য নিতে আসা টিসিবির কার্ডধারী নাজমা আকতার বলেন, ‘টিসিবির পণ্য আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষজনের জন্য আশীবার্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজার মূল্যের চেয়ে অনেকটা কম দামে টিসিবির পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে যে চাল, ডাল ও তেলের দাম এতে করে এসব কিনতে আমাদেরকে বাড়তি টাকা গুনতে হতো। রাত পোহালেই বাজারে কোনও না কোনও পণ্যের দাম বাড়ছে। সেই হিসেবে টিসিবির কম দামে পণ্য পাওয়াতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষজনের জন্য খুব উপকার হয়েছে।’

টিসিবির কার্ডধারী আব্দুল আলিম বলেন, ‘একে তো আমাদের আয়-রোজগার কম, এর ওপর পণ্যের যে দাম তাতে করে নিম্ন আয়ের মানুষজনের জন্য সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়তি দামের কারণে চাল কিনলে তেল হচ্ছে না আবার ডাল কিনলে চাল হচ্ছে না—এমন অবস্থা আমাদের। এক হিসাব করে টাকা নিয়ে বাজার করতে যাচ্ছি কিন্তু বাজারে গিয়ে কোনও হিসাব ঠিক থাকছে না। এর মাঝে টিসিবির কম দামে পণ্য বিক্রি আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। বিশেষ করে চাল, ডাল ও তেল পাওয়ায় কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হয়েছে। স্বল্প মূল্যেই আমরা এসব পণ্য কিনতে পারছি। তবে চিনিটা দিলে আমাদের জন্য আরেকটু ভালো হতো।’

হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে সারা দেশের ন্যায় আজ হিলিতে সুলভ মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৪৭০ টাকা প্যাকেজ মূল্যে ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল, একশ টাকা লিটার হিসাবে দুই লিটার সয়াবিন তেল ও ৬০ টাকা কেজি হিসাবে দুই কেজি ডাল দেওয়া হচ্ছে। বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে এসব পণ্য পেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১০ হাজার ৫৭১ জন টিসিবির কার্ডধারী মানুষের মধ্যে সুলভ মূল্যে এই পণ্য বিক্রয় করা হবে।’