Adiganga renovation: আদিগঙ্গা সংস্কারের কাজে গতি আনতে অতিরিক্ত সাত কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব

জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে সংস্কার করা হচ্ছে আদিগঙ্গা। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবেশ কর্মীরা। অথচ পরিবেশ আদালতের নির্দেশ রয়েছে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। এই অবস্থায় আদিগঙ্গা সংস্কারের জন্য আরও প্রায় ৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব গৃহীত হল কলকাতা পুরসভায়। শুক্রবার মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

আরও পড়ুন: আবর্জনা ফেলা রুখতে ভরসা সেতুর দু’পারে তারের বেড়া, কমবে কি আদি গঙ্গার দূষণ?

আদিগঙ্গা পলি জমে বুঝে যাওয়া নিয়ে এবং জলে ভাসমান আবর্জনা নিয়ে পরিবেশ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। এমনকী পরিবেশ আদালত এনিয়ে কলকাতা পুরসভাকে ভর্ৎসনা করেছিল। তারপরেই মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে নগর উন্নয়ন দফতর, কলকাতা পুরসভা, কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি সহ একাধিক দফতর ও সংস্থা বৈঠক করে। তাতে সিদ্ধান্ত হয় বেশ কয়েকটি পর্যায়ে আদিগঙ্গা সংস্কার করা হবে। প্রথম পর্যায়ে আদিগঙ্গা দইঘাট থেকে চেতলা পর্যন্ত সংস্কার করা হয়েছে। ওই অংশের পলি নিষ্কাশন করা হয়েছে। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে চেতলা সেতু থেকে কুঁদঘাট মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত পলি নিষ্কাশন এবং আবর্জনা সংস্কারের কাজ চলছে। চলতি আর্থিক বছরে সেই কাজ শেষ হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে কুঁদঘাট মেট্রো স্টেশন থেকে শহীদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরের পুর আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারপরে তাঁরা রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাতে ৬ কোটি ৭৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪০৭ টাকা খরচ হবে। গত মে মাসে মেয়র এবং পুর কমিশনার তাতে অনুমোদন দিয়েছেন। সেটি পাঠানো হয়েছে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরে। অগস্টের শেষে নগরোন্নয়ন দফতর সেটি মঞ্জুর করেছে। বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে টেন্ডার ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, আদিগঙ্গা পুনরুদ্ধার নিয়ে সম্প্রতি পরিবেশ কর্মীরা প্রচার চালিয়েছেন। পরিবেশকর্মীদের সংগঠন সবুজ মঞ্চ এ নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে স্মারকলিপি জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, জাতীয় পরিবেশ আদালত গত জানুয়ারিতে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের অধীনে আদিগঙ্গার সংস্কার সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। আরও জানিয়েছিল, কাজ শেষের সেই রিপোর্ট ২০২৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে হবে।