একটি গাড়িতে করে চারজন বা ছয় জন রোজ অফিস যেতেন। ভাড়াটাও একা দিতে হত না। সবাই ভাগাভাগি করে দেওয়াতে চাপ কম ছিল। কিন্তু সেই সুবিধা আর মিলবে না। সম্প্রতি বেঙ্গালুরু প্রশাসন জারি করল নয়া নিয়ম। শেয়ারের গাড়িতে আর চড়া যাবে না রাস্তায়। বরং এমন গাড়ি রাস্তায় দেখলেই পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। সম্প্রতি ভারতের এই টেক শহরে আন্দোলন করে ট্যাক্সি ও অটো ইউনিয়নের সদস্যরা। তাদের দাবি, শেয়ারের গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে বেঙ্গালুরুর রাস্তায়। ওই গাড়ির জন্যই ব্যবসা মার খাচ্ছে তাঁদের। একইসঙ্গে বাইক অ্যাপের পরিষেবাও বন্ধ করার দাবি জানায় ওই সংগঠন। তাঁদের কারণে মার খাচ্ছে অটোরিক্সাদের ব্যবসা।
(আরও পড়ুন: আজীবন রবীন্দ্রসঙ্গীত এড়িয়ে চলেছেন এসডি বর্মণ, নেপথ্যের কারণ ছিল গভীর বঞ্চনা)
(আরও পড়ুন: যতই সবজি হোক, এটি বেশি খেলেই অকেজো হবে লিভার, সাবধান হন আজই)
সম্প্রতি গত কয়েক বছর ধরে বাড়ছে অ্যাপক্যাবের রমরমা । অ্যাপের মাধ্যমে এই ধরনের গাড়ি বুক করে চড়া যায়। শেয়ারের গাড়ির জন্যও রয়েছে তেমনই কিছু ক্যাব পরিষেবা। ব্লাব্লা কার, কুইকরাইড, কমিউটইজি, রাইডশেয়ার ও কারপুল আড্ডা এমনই কিছু অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা। এই পরিষেবাগুলিতে আদতে অনেকটাই উপকার হয়েছিল রোজকার অফিসযাত্রীদের। এমনকি একাধিক ব্যক্তি একটি গাড়িতে যাওয়ার কারণে গাড়ির সংখ্যাও রাস্তায় তুলনায় কম হত। বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে। তবে এতেই বিপদে পড়েছেন ট্যাক্সিচালকেরা। তাঁদের ব্যবসায় ভাগ বসাচ্ছে অ্যাপ ক্যাবের এমন সস্তা পরিষেবা। অন্যদিকে বাইক রাইডের পরিষেবাও বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন।
(আরও পড়ুন: লাল রঙের একটি ফলই পারে কোলেস্টেরল কমাতে! নাম জানলে রোজ খেতে চাইবেন)
সাম্প্রতিককালে বন্ধের ডাক দেয় ট্যাক্সি ও অটো ইউনিয়ন। বন্ধের দিন কর্ণাটকের পরিবহন মন্ত্রী রামালিঙ্গ রেড্ডিকে দাবিপত্র পাঠায় ওই সংগঠকরা। তাদের দাবির ভিত্তিতেই নয়া জরিমানার ব্যবস্থা করল প্রশাসন। ওই নিয়মে সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ করা হল কারপুলিংয়ের ব্যবসাকে। এর অন্যথা হলে জরিমানাও ধার্য করেছে প্রশাসন। পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা গুনতে হবে কারপুলের চালকদের। এবার কথা হল বেঙ্গালুরু এমনিই তাদের ট্র্যাফিকের জন্য খবরের শিরোনামে থাকে। কারপুল করলে তো রাস্তায় কম গাড়ি থাকবে। এটি ইকো ফ্রেন্ডলিও। তাও কেন এই সিদ্ধান্ত, মাথা চুলকাচ্ছেন অনেকেই বুঝতে।