International Music Day 2023: আজ আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবস, কেন পালিত হয় দিনটি? গান শুনলে শরীরে কী কী বদল আসে

প্রতি বছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবস পালিত হয়। এই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হল সারা বিশ্বে সঙ্গীত প্রচার করা। গত কয়েক বছরে, আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবস সরকার এবং সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষ করে যাঁরা সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাঁদের জন্য এই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। সঙ্গীত কোনও ধর্ম বা দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সঙ্গীত মানুষের হৃদয়কে সংযুক্ত করে। আর সেটিই এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য। 

আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবস কী?

১৯৪৯ সালে, একটি ইউনেস্কো দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সঙ্গীত প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউনেস্কোর সদস্যরা বুঝতে পেরেছিলেন যে সঙ্গীত সবাইকে সংযুক্ত করে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সঙ্গীতকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। লর্ড ইহুদি মেনুহিন আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে সঙ্গীত দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে। এটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্যও হ্রাস করবে।

গান শুনে কী লাভ?

গান শোনার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি মেজাজ উন্নত করতে, মানসিক চাপের মাত্রা কমাতে এবং সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। সঙ্গীতের মাধ্যমে আপনি সামাজিক হয়ে ওঠেন এবং অনেক লোকের সঙ্গে সংযুক্ত হন। এনার্জি বাড়াতে গানও শোনা হয়।

সঙ্গীত আপনাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে উভয়ই ভালো বোধ করায়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যাঁরা প্রতিদিন গান শোনেন, তাঁরা অন্য মানুষের তুলনায় কম রাগান্বিত বোধ করেন। তাঁরা শান্ত প্রকৃতির। এ ছাড়া তাঁরা অন্য মানুষের তুলনায় বেশি সুখীও হন। এটি সম্ভবত কারণ সঙ্গীত শোনা আমাদের মনে করায় যে আমরা একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অংশ। এটি আমাদের প্রতিদিনের ঝামেলা থেকে অল্প সময়ের জন্যও মুক্তি দেয়। গান শুনে মানুষ স্বস্তি অনুভব করেন।

গান সব ধরনের মেজাজ নিরাময় করতে পারে। আপনি আপনার মেজাজ অনুযায়ী গান শুনতে পছন্দ করেন। এই ধরনের গান শোনার পর আপনার একাকিত্ব কম লাগে। সঙ্গীতেরও রয়েছে শারীরিক উপকারিতা। যখন আমরা গান শুনি, তখন আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরণ পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনগুলি আমাদের তত্পরতা, সমন্বয় এবং সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা গান শোনেন তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কম।