Search Committee for VC: সার্চ কমিটিতে ‘গেরুয়া ঘনিষ্ঠ’ ২ শিক্ষাবিদ, আছে অতীত বিতর্কও, প্রশ্নে রাজভবন

সার্চ কমিটির মাধ্য়মেই সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বাছাই করা হয়। আর সেই সার্চ কমিটির অন্তত দুজন সদস্যকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এই সার্চ কমিটিতে নাম সুপারিশ করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তাঁর এই নাম চয়ন নিয়েই এবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ পাঁচ জনের মধ্যে অন্তত দুটি নাম নিয়ে চর্চা চলছে পুরোদমে। কারণ দুজনের নাম নিয়ে আগে থেকেই নানা আপত্তি রয়েছে। মূলত অতীতে তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগই এবার সামনে আসছে। 

আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা ভিকে তিওয়ারি রয়েছেন সার্চ কমিটিতে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে আগেই একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র ফয়জান আহমেদের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী তিনি এবিভিপি ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিতি। পুষ্পক রথকে বিমানের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বিগত দিনে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। সেই অধিকর্তাই এবার সার্চ কমিটিতে। তবে কি গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ শিক্ষাবিদদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির চেয়ারে বসানোর ব্যাপারে চেষ্টা চলবে? ইতিমধ্য়েই বিভিন্ন মহলে এনিয়ে চর্চা চলছে। 

অপরজন হলেন রাজস্থানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি যখন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন তখন তাঁর এক সহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এক অধ্য়াপিকাকে তিনি যৌন হেনস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এরপর যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে যায়। গেরুয়া ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওই ব্যক্তি। তারপরেও কেন সার্চ কমিটিতে তাঁদের রাখা হল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।

তবে রাজ্য় সরকারও গোটা বিষয়টি একেবারে ভালো চোখে দেখছে না। সুপ্রিম কোর্টে যেতে চাইছে রাজ্য সরকার। 

তবে যাঁদের সার্চ কমিটিতে রাখা হয়েছে তাঁরা যে দেশের প্রখ্য়াত শিক্ষাবিদদের অন্য়তম এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁরা বিখ্য়াত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। এমন মতটাও রয়েছে। রাজভবন সূত্রেও এমনটাই দাবি করা হয়েছে। 

অন্যদিকে শাসক ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন উপাচার্যরাও এবার এনিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। এর জল এবার কোন দিকে যায় সেদিকে নজর রয়েছে রাজ্যের শিক্ষামহলের।