কম সময়ে ডায়মন্ডহারবার থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে গঙ্গাসাগরে, চালু হচ্ছে ক্রুজ পরিষেবা

গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রীদের জন্য সুখবর চলে এল। এবার থেকে সরাসরি ডায়মন্ডহারবার থেকে গঙ্গাসাগর যাওয়ার জন্য জলপথে শুরু হল বিলাসবহুল ক্রুজ পরিষেবা। যা আগে ছিল না। এবার একটি বেসরকারি সংস্থা অসপ্রে ওয়াটার ওয়েজ ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে আজ, সোমবার থেকে ট্রায়াল পরিষেবা চালু করল সংস্থাটি। গান্ধী জয়ন্তীর দিনটিকে ট্রায়াল পরিষেবার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের শুরুতেই গঙ্গাসাগর মেলা। এখানে বহু তীর্থযাত্রী আসতে চান। আর আসেনও বহু পর্যটকরা। তাঁদের যাতায়াতে আগে রেলপথ এবং পরে সড়কপথ ধরে আসতে হয়। এবার সেটাই একটানা আসা যাবে জলপথে।

সপ্তাহে কোনদিনে ছাড়বে ক্রুজ?‌ এদিকে এই পরিষেবার কথা প্রকাশ্যে আসায় এখন খুশির খবর বয়ে এল। এই ক্রুজ অত্যন্ত সুন্দর এবং অনেকটা জায়গা আছে। ফলে এখানে বসে সফর করতে একদম সমস্যা হবে না। সংস্থার পক্ষে জানানো হয়, সপ্তাহে তিনদিন শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার প্রাথমিকভাবে ডায়মন্ডহারবার জেটিঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৯ টায় গঙ্গাসাগরে কচুবেড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ক্রুজটি। আর বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ কচুবেড়িয়া থেকে আবার যাত্রী নিয়ে ফিরবে। ক্রুজের এই বিলাসবহুল যাত্রা করতে খরচ খুবই কম লাগবে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল এই ক্রুজে ক্লাসিক এবং প্রিমিয়াম পরিষেবা পাওয়া যাবে।

কত ভাড়া দিতে হবে?‌ অন্যদিকে এই ক্রুজে সফর করার জন্য ৩৪৮ এবং ৩৯০ টাকা করে দিতে হবে যাত্রীদের। ক্রুজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী দিনে সপ্তাহে ৭ দিনে ক্রুজ পরিষেবা সচল থাকবে। এভাবে সরাসরি গঙ্গাসাগরে আসা যাবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এখানে রাখা হয়েছে। ভয়ের কোনও কারণ নেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই ক্রুজ চলতে সক্ষম। আজ, সোমবার এই ক্রুজ ট্রায়াল পরিষেবা যখন দিচ্ছিল তখন সেখানে অনেকে ভিড় করে দেখতে থাকেন। অনেকে আবার খোঁজখবরও নেন।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আগামী ১০ বছর বিজেপির মিঁঞা ভোটের প্রয়োজন নেই’‌, হিমন্তের নিশানায় মুসলিমরা

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ তীর্থযাত্রীরা জানান, ডায়মন্ডহারবার থেকে গঙ্গাসাগর ক্রুজ পরিষেবা চালু হওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হবে। সরাসরি জলপথের মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যাবে কচুবেড়িয়ায়। আর সেখানে সময়ও অনেক কম লাগবে। এই পরিষেবা চালু হওয়াতে অনেকটাই খুশি তীর্থযাত্রীরা। এই বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজার অসপ্রে ওয়াটার ওয়েজ দেবপ্রিয় সরকার বলেন, ‘‌২০১৯ সাল থেকে এটা করার পরিকল্পনা ছিল। সেটা শুরু হয়। এখন সরকার থেকে এখানে চালাতে আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাই আজ ট্রায়াল পরিষেবা হল। তীর্থযাত্রী, পর্যটকরা তো এই পরিষেবা পাবেনই। তার সঙ্গে পরিষেবা পাবেন রোগীরা। যাঁরা চিকিৎসার জন্য এখান থেকে অন্যত্র যেতে চান।’‌