বিহারে জাতিগত জনগণনার সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত হতেই জনতা দল ইউনাইটেড ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল কার্যত উচ্ছাস প্রকাশ করল। তবে বিজেপির দাবি, তারাও এই সমীক্ষা শুরুর শরিক ছিলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবও এই উদ্যোগকে কার্যত ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। তবে বিজেপির দাবি এসব আইওয়াশ ছাড়া কিছু নয়। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্য়ে তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানিয়েছেন, এই সমীক্ষা সাধারণ মানুষের মধ্যে খালি সন্দেহ তৈরি করছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরীর দাবি, দল গোটা রিপোর্টটা স্টাডি করবে। তারপর বক্তব্য় জানাবে। তবে এই সমীক্ষার ব্যাপারে আমাদেরও সমর্থন ছিল। আমরাই এই কাজ শুরু করেছিলাম। মানে আমরা যখন সরকারের শরিক ছিলাম তখন আমরাই এই কাজ শুরু করেছিলাম।
বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবি, ঘটনাচক্রে এটা গান্ধী জয়ন্তীর সঙ্গে জড়িয়ে গেল। এই সমীক্ষকদলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিহারের ৯টি রাজনৈতিক দল যারা এই সমীক্ষাকে সমর্থন করেছিল তাদেরকে নিয়ে তিনি মিটিং করবেন বলেও জানিয়েছেন। তাদেরকেও এই সার্ভে সম্পর্কে জানানো হবে। এদিকে বিজেপিও এই নটি দলের মধ্য়ে অন্যতম, যারা কাস্ট সার্ভেকে সমর্থন করেছিল।
প্রসঙ্গত বিহারে জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বরাবরই উৎসাহ প্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমনকী ইন্ডিয়া জোটের মিটিংয়েও তিনি এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন।
নীতীশ এক্স হ্যান্ডেলে লিখে জানিয়েছেন, বিভিন্ন জাতির ক্ষেত্রে তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন সেটাও এই সমীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য কাজ করা সম্ভব হবে।
আর লালু প্রসাদ যাদব জানিয়েছিলেন, বিজেপি অনেক চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা শেষ হয়েছে। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এটা দেশের জন্য় একটা বেঞ্চমার্ক তৈরি করবে। গরিব, বঞ্চিত, অবহেলিত, অবদমিত মানুষদের কথা তুলে ধরবে এই সমীক্ষা। তাদের উন্নতির জন্য নীতি তৈরি করা সম্ভব হবে।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, এই সার্ভে যে কেবলমাত্র জাতিভিত্তিক সংখ্য়াটা সামনে আনবেন সেটাই নয়, এটা আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানাবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সরকার সার্বিক উন্নতিকে নিশ্চিত করবে।