Border Intelligence Posts: ভারত চিন সীমান্তে এবার গোয়েন্দা পোস্ট, বর্ডার ঘুরে দেখল হিন্দুস্তান টাইমস

নীরজ চৌহান

ভারত চিন সীমান্তের গ্রামে এই প্রথম বর্ডার ইনটেলিজেন্স পোস্ট বা বিআইপির অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় সরকার। মনে করা হচ্ছে বেজিংয়ের প্রতি নজর রাখার জন্যই এই বিআইপি তৈরি করা হচ্ছে। মূলত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের  সামরিক কার্যকলাপ সম্পর্কে নজর রাখার জন্য় এই পোস্ট তৈরি করা হল।

বিআইপিতে মূলত গোয়েন্দাদের মোতায়েন করা থাকবে। আর্মি ও ইন্দো তিবেতান সীমান্ত পুলিশের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে তাঁরা কাজ করবেন। ন্যাশানাল টেকনিকাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন, ইনটেলিজেন্স ব্যুরো ও রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানিলিসিস উইং সহ বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে সমণ্বয় রেখে এই কাজ করা হবে। চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির কাজকর্মের উপর নজর রাখবে ভারত। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। 

এক শীর্ষ আধিকারিকের মতে, আইটিবিপির বর্ডার আউটপোস্টের কাছেই থাকবে এই বিআইপি। সেখানে ৪-৫জন গোয়েন্দা আধিকারিক থাকবেন। কোথাও কোনও অস্বাভাবিক কিছু হলে তার রিপোর্ট তারা পাঠিয়ে দেবেন সরকারের কাছে। 

বর্তমানে লাদাখ থেকে অরুণাচল পর্যন্ত ইন্দো চিন সীমান্তে ১৮০টি বিওপি আছে। এই বছরের প্রথম দিকে ৪৭টি অতিরিক্ত বিওপি ও ১২টি স্টেজিং ক্যাম্প ছিল। সেখানে ৯৪০০জনকে মোতায়েন করা ছিল। 

তবে বিআইপি কতগুলি হবে তা নিয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, সেখানে প্রশিক্ষিত গোয়েন্দাদের মোতায়েন করা হবে। 

এদিকে চিন সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছে। নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে। সেই নিরিখে এবার পালটা দিল ভারতও। 

তবে ভারতও সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন ও পরিকাঠামো বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে। পশ্চিম অরুণাচলে চিনের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় প্রথম গ্রাম হল মাগো। সোমবার সেই গ্রামে গিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস। ২০২০ সাল পর্যন্ত সেই গ্রামে কোনও রাস্তা ছিল না। আগে হেলিকপ্টারে আর্মি ও আইটিবিপির সরঞ্জাম দেওয়া হত। তবে এখন সেখানে ঝকঝকে রাস্তা। মোবাইলে যোগাযোগ, জলবিদ্যুৎ এসেছে এখানে। 

অরুণাচলের মুখ্য়মন্ত্রী পেমা খান্ডু জানিয়েছেন, সেনা আর আইটিবিপি এই সীমান্ত গ্রামের উন্নতিতে কাজ করেছে। এখানে পর্যটনের বিকাশেও কাজ করা হচ্ছে। 

এখানে এখন শান্তির পরিস্থিতি রয়েছে। অভিনেতা রণদীপ হুড়া এলাকায় গিয়েছিলেন। আমাদের সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখতে সেনা, আইটিবিপি, রাজ্য সরকার অত্যন্ত ভালো কাজ করছে।