Caste Survey: জাত দিয়ে ভাগাভাগি! সুর চড়ালেন মোদী, জাতিভিত্তিক সমীক্ষা নিয়ে নয়া দাবি রাহুলের

বিহারে জাতিভিত্তিক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুর চড়িয়ে বললেন, গরিবদের অনুভূতি নিয়ে খেলা করছে কংগ্রেস। জাতপাতের নাম করে মানুষকে বিভাজন করছে তারা। 

মধ্য়প্রদেশের একটা সভাতে মোদী বলেন, গরিবদের অনুভূতি নিয়ে ওরা খেলছে। এখনও পর্যন্ত তারা এই কাজ করে যাচ্ছে। জাতপাতের নাম করে ওরা দেশকে ভাগ করছে। এখনও পর্যন্ত তারা এই কাজ করে যাচ্ছে। 

বিহারে জাতিভিত্তিক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টকে কেন্দ্র করে নীতীশ কুমার উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। তবে কার্যত সেদিনই জাতপাতের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মোদী। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এবার ২০২৪ সালের ভোটে জাতিভিত্তিক সমীক্ষা গোটা দেশ জুড়ে করার ব্যাপারে দাবি রাখা হবে। 

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দাবি, বিহার সরকারের এই কাস্ট সেনসাসের মাধ্যমে এটা বোঝা যাচ্ছে যে দেশের মধ্য়ে এই জাতিভিত্তিক সমীক্ষার কতটা প্রয়োজন রয়েছে। 

কিন্তু বিহারের জাতিভিত্তিক সমীক্ষায় ঠিক কী পাওয়া গেল? 

রাহুল গান্ধী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, OBC+ SC+ ST= 84%। আর ৯০জন কেন্দ্রীয় সচিবের মধ্যে তিনজন ওবিসি। তাঁরা মাত্র ৫ শতাংশ ভারতীয় বাজেটকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। সারা দেশের জাতিগত তথ্য়ের প্রয়োজন। 

নীতীশ কুমার বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখে জানিয়েছেন, বিভিন্ন জাতির ক্ষেত্রে তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন সেটাও এই সমীক্ষার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য কাজ করা সম্ভব হবে।

আর লালু প্রসাদ যাদব জানিয়েছেন, বিজেপি অনেক চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা শেষ হয়েছে। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এটা দেশের জন্য় একটা বেঞ্চমার্ক তৈরি করবে। গরিব, বঞ্চিত, অবহেলিত, অবদমিত মানুষদের কথা তুলে ধরবে এই সমীক্ষা। তাদের উন্নতির জন্য নীতি তৈরি করা সম্ভব হবে।

বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, এই সার্ভে যে কেবলমাত্র জাতিভিত্তিক সংখ্য়াটা সামনে আনবে সেটাই নয়, এটা আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানাবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সরকার সার্বিক উন্নতিকে নিশ্চিত করবে।

তবে এবার ২০২৪ সালের ভোটের যে অন্যতম ইস্যু হবে জাতিভিত্তিক সমীক্ষা সেটা বলাই বাহুল্য।