Sukanta Majumdar: ‘শ্রমিকদের বদলে JCB দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে’, দিল্লি থেকেই TMC–কে আক্রমণ সুকান্তর

বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার নেতৃত্বে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে তৃণমূলকে তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপির বাংলার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে আক্রমণ করলেন বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব। লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও ছিলেন এই সাংবাদিক বৈঠকে।

আরও পড়ুন:’ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলছেন…’, মহাদেবকে ‘ঘোর অপমান’ মমতার, অভিযোগ সুকান্তর

সুকান্ত মজুমদার এদিন জানান, মাটি কাটার কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক টাকা আদায় করেছেন তৃণমূলের নেতারা। ১০০ দিনের শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর পরিবর্তে জেসিবি দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। আর সেই টাকা পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। আগেই সম্পন্ন হওয়া কাজকে এমজিএনআরইজি-র অধীনে করানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। 

তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গায় অনিয়মিত কাজের অভিযোগ রয়েছে। যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে কেন্দ্রের একটি দল গিয়েছিল রাজ্যে। কিন্তু, রাজ্য সরকার তাদের কোনও সহযোগিতা করেনি বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও গুরুতর অভিযোগ, পুকুর খননের জিপিএসের ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় দলকে। পরে দেখা যায় যেখানকার জিপিএস দেওয়া হয়েছে তা নদীর মধ্যে। তাঁর কটাক্ষ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত নদীর ভিতরে গিয়ে পুকুর খনন করেছে।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতৃত্ব বারবার অভিযোগ তুলে আসছেন কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। সে প্রসঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, এর আগে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার রাজ্য সরকারকে ১৪ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। সেই জায়গায় বর্তমান কেন্দ্র সরকার ৫৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৪.৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সুকান্তর বক্তব্য, রাজ্য সরকার স্বীকার করেছে চুরি হয়েছে। তারপরে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

 অন্যদিকে, ধর্না কর্মসূচিতে তৃণমূলের ট্রেন ভাড়া না পাওয়ায় ঘাসফুলকেই দায়ী করেছেন সুকান্ত। তাঁর মতে, ঠিকমতো আবেদন করেনি তাই পায়নি। সুকান্তর কটাক্ষ, এসব নাটকবাজি চলছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা প্রসঙ্গে জানান, দুর্নীতি হয়েছে সেই কারণেই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। লকেট চট্টোপাধ্যায় নারীদের উপর অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, চাকরিতে দুর্নীতি হচ্ছে ,নিয়োগ হচ্ছে না। তাতে কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হচ্ছে না অথচ দিল্লিতে এসে সার্কাস করা হচ্ছে।