উপভোক্তার সংখ্যা ছাড়াচ্ছে ২ কোটির গণ্ডি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মিলল তথ্য

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন সেটা জনপ্রিয় প্রকল্পে রূপান্তরিত হয়েছে। সেটা হল—লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যখন এই প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী চালু করেন তখন তা বাড়তে বাড়তে বাংলার দেড় কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক অনুদান পাঠানো শুরু হয়। এখন মাত্র দু’বছরেই এই প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা ২ কোটির গণ্ডি ছাড়াচ্ছে। সূত্রের খবর, সদ্যসমাপ্ত ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে আবেদনকারী আরও ৯ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আর তাতেই সংখ্যাটা ২ কোটি ছাড়াতে চলেছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, দুর্গাপুজো এখন সামনে। আর মাত্র হাতে দু’‌সপ্তাহ বাকি। তার আগে কি মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। ৯ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে শীঘ্রই টাকা পাঠানো শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী দুর্গাপুজোর মুখে রাজ্যের এই সমস্ত মহিলার জন্য এটাই মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হতে পারে। তাতে মহিলারা আরও খুশি হবেন। নতুন উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তবে সেটা কবে হবে?‌ তার কোনও নির্দিষ্ট তারিখ মেলেনি। তবে সেই সম্ভাবনা যে আছে সেটা মানছেন নবান্নের কর্তারা।

এখন ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। আর সেখানে নতুন করে ৯ লক্ষ যুক্ত হলে সংখ্যাটা ২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তাহলে সেটা একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। এমনকী একটি প্রকল্পে যদি এত পরিমাণ উপভোক্তা থাকে তাহলে সেটা কার্যত রেকর্ড। তার মধ্যে আবার নতুন নিয়মে মহিলাদের বয়স ৬০ পেরোলেই একেবারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্ধক্য ভাতা পেতে থাকবেন এই ৯ লক্ষ উপভোক্তা। সুতরাং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একটা চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে বাংলায়।

আরও পড়ুন:‌ দুর্গাপুজোর ছুটিতে স্কুল কি খোলা রাখা হবে?‌ পাঠ্যক্রম শেষ করতে নয়া প্রস্তাব

বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুক বাংলার মা–বোনেরা এই প্রকল্প নিয়ে অত্যন্ত খুশি। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা পান প্রত্যেক মাসে এক হাজার টাকা। আর বাকি সব মহিলারা পান ৫০০ টাকা করে। এই প্রকল্প বারবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে ফায়দা দিয়েছে। এত দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও বাংলার সরকারকে কোনও নির্বাচনে হারাতে পারেনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পে টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা যখন কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে তখন বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খানিকটা সুরাহা দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।