‘‌দু’‌মাসের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেব’‌, যন্তরমন্তর থেকে কথা দিলেন অভিষেক

একশো দিনের টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার আগে জোর গলায় কথা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একশো দিনের টাকা দু’‌মাসের মধ্যে আড়াই হাজার মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার কথা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার যন্তরমন্তরে দাঁড়িয়ে সভা করলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি সময় চেয়ে নিলেন। এমনকী পরবর্তী পদক্ষেপ করার কথাও ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিলেন অভিষেক।

এদিন ৪০ জন প্রতিনিধি নিয়ে যাবেন অভিষেক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে। আর যাওয়ার আগে বলেন, ‘‌একশো দিনের টাকা আদায় করতে সাংসদ–বিধায়ক–মন্ত্রী এবং ৮জন একশো দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে আমরা মোট ৪০ জন যাব। সেখানে যদি সদর্থক উত্তর না পাই তাহলে আম্বেদকর ভবনে ফিরে এসে পরবর্তী কর্মসূচি আজই ঘোষণা করব। জমিদারদের রাজত্ব কিছুতেই মানব না। দড়ি ধরে মারো টান,বিজেপির জমিদার হবে খান খান। আড়াই হাজার লোককে নিজেদের বেতন দিয়ে পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেব। আর ৫০ লাখ চিঠি আজ মন্ত্রীর টেবিলে যাবেই। হয়ে যাক হেস্তস্নেস্ত। চিঠি তো আজ যাবেই।’‌

তবে সবাইকে নিয়ে মিছিল করে অভিষেক যাবেন না বলে জানান। কারণ এই সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। মানুষের উপর আঘাত হানতে পারে। তাই ৪০ জনের প্রতিনিধিদল যাবে বলে জানান অভিষেক। তাঁর কথায়, ’‌আমরা দু’‌বছর কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু একটা টাকাও দেয়নি একসো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায়। যদি বিজেপি নেতারা দেখাতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। দু’‌মাস অর্থাৎ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আড়াই হাজার মানুষের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকিয়ে দেব। আমি যন্তরমন্তর থেকে কথা দিয়ে যাচ্ছি।’‌

আরও পড়ুন:‌ দামোদর নদীর জলের তলায় চলে গেল চাষের জমি, নৌকা চালিয়ে দেখলেন বিধায়ক

আর কী বললেন অভিষেক?‌ এখানে লড়াই শেষ নয় বলেও সোচ্চার হন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‌এখান থেকেই আজ লড়াই শুরু হল। এরপরও যদি কথা না শোনে তাহলে এক লাখ লোক নিয়ে এসে এখানে আন্দোলন করব। আর সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আমি ফিরে গিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখব, একশো দিনের কাজের টাকা যাদের বকেয়া তাদের রাজ্য সরকার যেন টাকা দেয়। এটা রাজ্য সরকারের কাজ নয়। তবু করতে অনুরোধ করব। আর যদি রাজ্য সরকার না পারে তাহলে দলের পক্ষ থেকে সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। নিজের বেতন দিয়ে টাকা দেব। তবে তার জন্য ৬ মাস সময় লাগবে। জুন মাসের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন। কথা দিচ্ছি।’‌