সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলার ঘোষণা

বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন লিবারেল ইসলামিক জোট ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সভায় দুই জোটের শীর্ষ নেতারা এমন ঐক্যমতে পৌছান।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, নির্বাচন আসলেই সাম্প্রদায়িক একটি গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য উঠেপড়ে লাগে। ধর্মকে ব্যবহার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য তারা সবসময় প্রস্তুত থাকে। নির্বাচনেও ধর্মকে ব্যবহারের প্রভাব বেশ লক্ষণীয় হয়ে থাকে। ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুরসহ নানা নেক্কারজনক কাজ করে থাকে। এসব সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলতে পারলে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, নির্বাচন আসলেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সুযোগ পেলেই তারা ভিন্ন ধর্মের মানুষের ওপর হামলে পড়ে।

লিবারেল ইসলামিক জোটের চেয়ারম্যান শাহজাদা ড. সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারী বলেন, সাম্প্রদায়িকতা কোনও জাতির জন্যই মঙ্গলজনক নয়। ইসলামের কোনও জবরদস্তি বা বাড়াবাড়ি নেই। আগামী দুর্গাপূজায় আমাদের নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপ পাহারা দেবে, তাদের ধর্মীয় কাজ সম্পাদনের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করবে।

উভয়ের জোটের পক্ষ থেকে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করে ঢাকায় কন্ট্রোল রুম স্থাপনের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

সভায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য রঞ্জন কর্মকার, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, জয়ন্ত কুমার দেব, ব্যারিস্টার প্রশান্ত বড়ুয়া ও রমেন মন্ডল, লিবারেল ইসলামিক জোটের নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজবাহুর রহমান চৌধুরী, জোটের কো-চেয়ারম্যান শাহ সুফি সৈয়দ আলম নুরী আল সুরেশ্বরী, মাহবুবুর রহমান জয় ফারাহ নাজ হক চৌধুরী, হাসরত খান ভাসানীসহ জোটের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।