World Cup 2023: England Cricket Team Status, Update, Squad, Watch Out For Key Player About To Know

লন্ডন: গত বিশ্বকাপের (World Cup Cricket) চ্যাম্পিয়ন দল। ওয়ান ডে বিশ্বকাপ (World Cup 2023) শুরুর পর থেকে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটেছিল ২০১৯ সালে। সাদা বলের ফর্ম্য়াটে বিশ্বের সেরা দল হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল ইংল্যান্ড (England Cricket Team) শিবির। এবারের বিশ্বকাপে তাই ইংল্য়ান্ড ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নামতে চলেছে। এর আগে ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ বিশ্বকাপে রানার্স আপ হলেও খেতাব ঘরে তুলতে পারেনি ব্রিটিশ বাহিনী। ইংল্য়ান্ড শিবির বরাবরই লাল বলের ক্রিকেটকেই প্রাধান্য দিয়েছিল। তবে ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার ও চূড়ান্ত ভরাডুবির পর টিম ম্যানেজমেন্ট দলের পুরো খোলনলচে বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অ্যান্ডারসন, ব্রডের মত তারকারা টেস্টে ফর্ম্যাটে ফিরে আসেন। প্রচুর নতুন ছেলে তুলে আনা হয়। অইন মর্গ্যানের হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়। এরপর চারবছরের পরিশ্রমের পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্য়ান্ড। এবার জস বাটলারের নেতৃত্বে বিশ্বকাপে খেলতে নামবে তারা। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে মোট ৮৪টি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। জয় পেয়েছে ৪৯ ম্যাচে। ৩৩ ম্যাচ হারতে হয়েছে। ১টি টাই ও ১টি ম্য়াচে কোনও ফল নির্ধারণ হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে আয়োজিত এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম হট ফেভারিট বাটলার বাহিনীই।

সাম্প্রতিক ফর্ম

বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ২টো ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডের। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে এক বলও খেলা হয়নি। দ্বিতীয় ম্য়াচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন বাটনাররা। ৩৭ ওভারের ম্যাচে ৭৭ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বৃষ্টিবিঘ্নিত ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জেতে ব্রিটিশরা। তার আগে কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৪ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে পিছিয়ে থেকেও ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছিলেন রুট, স্টোকসরা। ফলে বিশ্বকাপের মূলপর্বেও এই ছন্দ ধরে রাখতে চাইবে ইংল্যান্ড শিবির।  

শক্তি

দলের ব্যাটিং, বোলিং ২ বিভাগেই ভারসাম্য রয়েছে। বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি। বেয়ারস্টো ও মালানকে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে। পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তুলতে ওস্তাদ ২ ব্যাটারই। বেয়ারস্টো ২০১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহক ছিলেন। মিডল অর্ডারে বেন স্টোকসের অবসর ভেঙে ফিরে আসা একটা বাড়তি প্লাস পয়েন্ট ইংল্যান্ড শিবিরের জন্য। এছাড়াও রুট, লিভিংস্টোন রয়েছেন। লোয়ার অর্ডারে হয়ত নামবেন জস বাটলার নিজে। বাটলার কতটা ভয়ঙ্কর ব্যাটার, তা গোটা বিশ্ব জানে। স্টোকস ছাড়াও স্যাম কারান, ক্রিস ওকসের মত বিশ্বমানের অলরাউন্ডার রয়েছে। বোলিং বিভাগে ডেভিড উইলি, মার্ক উড, রিস টোপলে তিনজনই গতি দিয়ে বাজিমাত করতে পারেন।

দুর্বলতা

চোট সমস্যা এই দলের সঙ্গে লেগেই রয়েছে। গত বিশ্বকাপে দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকার জোফ্রা আর্চার এবারের বিশ্বকাপের আগে ছিটকে গিয়েছে। তাঁর কনুইয়ে চোট রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ২২ গজের বাইরে রয়েছে তিনি। এছাড়া জেসন রয়ের মত প্লেয়ারকেও দলের বাইরে রাখা হয়েছে। গত বিশ্বকাপে বেয়ারস্টোর সঙ্গে রয়ের জুটিই ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেনে নেমেছিল। তবে পিঠের চোটের জন্য রয়ও ছিটকে গিয়েছেন।

বিশ্বকাপ স্কোয়াড: জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, গাস অ্য়াটকিনসন, হ্য়ারি ব্রুক, স্যাম কারান, জস বাটলার (অধিনায়ক), লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মালান, আদিল রশিদ, জো রুট, বেন স্টোকস, রুস টোপলে, ডেভিড উইলি, মার্ক উড, ক্রিস ওকস