উল্টোডাঙ্গা–গড়িয়াগামী বাসের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু প্রৌঢ়ের, গ্রেফতার চালক

আজ, বুধবার সকাল থেকেই চলছে শহরে মুষলধারে বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টিভেজা কলকাতা সাক্ষী থাকল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার। উল্টোডাঙ্গা থেকে গড়িয়াগামী বেসরকারি বাসের ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতে যখন কলকাতা পুলিশ মরিয়া তখন এমন ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। গড়িয়া মোড়ের কাছে বেপোরায়ভাবে বাস ঘোরাতে গিয়েই ধাক্কা লেগে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেপরোয়াভাবে বাস ঘোরাতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে। আর তারপর অভিযুক্ত চালক পালাতে চেষ্টা করলেও তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে নেতাজিনগর থানার পুলিশ। ঘাতক বাসটির কোনও রুট পারমিট ছিল না বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। বাসের চালক এবং খালাসি দু’‌জনেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু খালাসি পালাতে সক্ষম হলেও চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর বাসটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বৃষ্টিতে এখন ভিজছে বাংলা। রাস্তাঘাটের অবস্থা তাই বেশ খারাপ হয়ে পড়েছে। কলকাতার একাধিক জায়গায় জল জমা হয়ে রয়েছে বলে খবর। তার জেরেই এই পথ দুর্ঘটনা বলে একাংশের মত।

অন্যদিকে উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়া রুটের বাসটি বেপরোয়াভাবে ঘোরাচ্ছিল চালক বলে অভিযোগ। আর তখনই রাস্তা পার করছিলেন এক প্রৌঢ়। বাসটি তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ওই প্রৌঢ়ের উপর উঠে যায়। গুরুতর জখম হন ওই প্রৌঢ়। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে ওই প্রৌঢ়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই পথ দুর্ঘটনার জেরে এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চম্পট দেয় কন্ডাক্টার। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নেতাজিনগর থানার পুলিশ এবং গ্রেফতার করা হয় বাসের চালককে। মৃতের পরিচয় এখনও অজানা।

আরও পড়ুন:‌ রুজিরাকে আবার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সিজিওতে হাজিরা দিতে নির্দেশ

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘাতক বাসটির কোনও রুট পারমিট নেই। তবে নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানারও চেষ্টা হচ্ছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যেখানে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানেই রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের একটি কিয়স্ক। তাই পুলিশ কিয়স্কের সামনেই এমন পথ দুর্ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। দু’‌দিন আগে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি হাব হিসেবে পরিচিত সল্টলেক সেক্টর ফাইভেও ঘটে একটি বাস এবং গাড়ির সংঘর্ষ।