Sikkim Disaster: ‘তিনতলা বাড়ি গিলে খেল তিস্তা, ভাসিয়ে নিল ব্রিজ’ সিকিমের দুর্গতদের মুখে জানুন বিপর্যয়ের রাত

প্রমোদ গিরি

রাতারাতি বদলে গেল সিকিমের ছবিটা। উত্তর সিকিমে ভয়াবহ বিপর্যয়। ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তিস্তা। সুন্দরী তিস্তা আজ ভয়ংকরী। সব মিলিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ১২০জনের কোনও খোঁজ মিলছে না। ২৩জন সেনা জওয়ান নিখোঁজ। উত্তর সিকিমের হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা।

ঠিক কেমন পরিস্থিতি সিকিমে? খোঁজ নিল হিন্দুস্তান টাইমস। ৭০ বছর বয়সি মীনা তামাং। সিকিমের সিঙতাম এলাকার বাসিন্দা। মীনা হার্টের পেসেন্ট। বৌমা গর্ভবতী। তিস্তা নদীর ধারেই তাদের তিনতলা বাড়ি। মীনা জানিয়েছেন, সতর্কতা শুনলাম তিস্তার জল বাড়ছে। আমরা দ্রুত নিরাপদ জায়গার দিকে যাচ্ছিলাম। সতর্কতা শোনার ৩০ মিনিটের মধ্য়ে বেরিয়ে পড়ি। তারপরেই দেখলাম সব শেষ। বাড়িটা ভাসিয়ে নিয়ে গেল তিস্তা। জিনিসপত্র কিছু বের করতে পারিনি।

‘কী করে কিছুই বুঝতে পারছি না। প্রতি বছর তিস্তার জলের স্তর বাড়ছে। আমাদের ঘরছাড়া হতে হল।’ অপর এক বাসিন্দা প্রতিমা ছেত্রি বলেন, ‘রাত দেড়টার সময় সতর্ক বার্তা পেলাম। রাত তিনটের সময় ইন্দ্রেনি ব্রিজকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল তিস্তা। অন্তত ১৫টি বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেল তিস্তা। এক কাপড়ে বেরিয়ে এলাম বাড়ি থেকে। এমন করে আমরা রাতারাতি ঘরছাড়া হয়ে যাব ভাবতে পারিনি। ’

চুংথাং, মঙ্গন, সিংতাম রংপো, মেল্লি হয়ে তিস্তা আসছে। সিকিম উরজা হাইড্রো পাওয়ারও ভেসে গিয়েছে। সিকিম উরজা লিমিটেডের সুনীল সারোগি বলেছিলেন,’ রাত ১২টার পরে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্য়ে ভেসে গেল চুংথাংয়ের এর বাঁধ। ২০০ মিটার ব্রিজটাও ভেঙে গেল। গোটা পাওয়ার হাউস জলের তলায়।’

কালিম্পংয়ের মেল্লির বাসিন্দা বীরেন গুরুং জানিয়েছেন, ‘১০টি কংক্রিটের বাড়ি ভেসে গিয়েছে।’ হেমকুমার ছেত্রী নামে এক উদ্ধারকারী বলেন, ‘বহু বাড়ির একতলায় জল ঢুকে যায়। ছাদ ভেঙে তাদের উদ্ধার করতে হয়। অনেকের কান্না, চিৎকার শুনতে পেলাম। কিন্তু গিয়ে দেখলাম কেউ নেই। মনে হচ্ছে সব ভেসে গিয়েছে। ’