ইডির কাছে হাজিরা দিতে হবে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

আগামী ৯ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কারণ সমন করে ডাকতে হলে ১৯ অক্টোবরের আগে অথবা ২৬ অক্টোবরে পর ডাকতে হবে বলে ইডিকে আজ, বৃহস্পতিবার প্রাথমিক নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে আগামী ১০ অক্টোবর তারিখের মধ্যে সমস্ত তথ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে ইডির কাছে। সেটা খতিয়ে দেখে ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে সমন পাঠাতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

এদিকে ১৯–২৬ অক্টোবর দুর্গাপুজোর ৭ দিন সমন পাঠাতে পারবে না ইডি। এমনকী তখন কোনও জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করা যাবে না। আজ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমার ডিভিশন বেঞ্চের। সুতরাং সিঙ্গল বেঞ্চের রায় আর বহাল রইল না। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস জড়িয়ে বলে ইডির দাবি। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার তলব করেছিল ইডি। ৯ অক্টোবর আসতে বলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, ‘‌অনুসন্ধান এবং তদন্ত যেন ব্যাহত না হয় সেটা দেখতে হবে ইডিকে। আর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব যেন সঠিকভাবে হয়।’‌ পাল্টা ডিভিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের সেকেন্ড–ইন–কমান্ড।

অন্যদিকে ১৯ মাস ধরে তদন্তের কী হয়েছে? এমন প্রশ্ন আজ ইডির সামনে তুলে দেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা। এমনকী বিচারপতি বলেন, ‘‌৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালের মধ্যে তদন্ত গুটিয়ে আনুন। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত তদন্ত পারলে শেষ করুন। মর্নিং শো দ্য ডে’। পাল্টা ইডির ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল ধীরাজ ত্রিবেদী ডিভিশন বেঞ্চে জানান, জুন মাস থেকে তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। নিয়োগ দুর্নীতি প্যান্ডোরা বক্স। পরপর খুলে যাচ্ছে। এক তদন্ত করতে গিয়ে পুরো নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য এল। সেটার তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন:‌ বোসের দরবারে ফোঁস করতে মিছিল অভিষেকের, ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে হাজির তৃণমূল

এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘‌নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তদন্ত স্বচ্ছ নয়। শুভেন্দু অধিকারীর এক্স–হ্যান্ডেলে দেখা গিয়েছে গোপন তথ্য শেয়ার করেছেন।’‌ এই কথা শুনে বিচারপতি সৌমেন সেনের মন্তব্য, ‘‌মাথায় রাখতে হবে যাতে গোপন তথ্য বাইরে না আসে। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।’‌ পাল্টা ইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‌আজই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি, চেয়ে পাঠানো তথ্যের বাইরেও অনেক তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তাই তাকে সমন করা হয়েছে। উনি সহযোগিতা করছেন না।’‌ তখন বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, ‘‌ইডি হচ্ছে ব্লু আইয়েড। আরও তথ্য জোগাড় করুন। প্রয়োজন মত জিজ্ঞাসাবাদ করুন।’‌