‘‌জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি মন্ত্রীরও আমার সঙ্গে আসা উচিত ছিল’‌, সরকারকে খোঁচা রাজ্যপালের

আজ, বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দার্জিলিংয়ের শ্বেতিঝোরায় এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এখানে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। বানভাসী একাধিক এলাকা পরিদর্শন করতে বেরিয়েছেন তিনি। তবে এখানে এসেও রাজ্যপাল বিঁধলেন রাজ্য সরকারকে। ইতিমধ্যেই সিকিম থেকে উত্তরের সমতলে নেমে এসেছে তিস্তা নদীর জল। যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নবান্ন থেকে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এই বিপর্যয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিং পাহাড়ে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দুপুরে আবার কলকাতা ফেরার কথা। আজই বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনিও বানভাসী এলাকা ঘুরে দেখবেন।

এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি থেকে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের বিমানে উঠে সকাল ৮টা নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখান থেকে সড়কপথে দার্জিলিংয়ের শ্বেতিঝোরায় আসেন। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে আগেই। সুতরাং বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যান চলাচল। রাজ্যপাল বাগডোগরায় নেমে চলে যান শিলিগুড়ির স্টেট সার্কিট হাউজে। সেখান থেকে সোজা পাহাড়ে যান তিনি। দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তায় বানভাসী এলাকা ঘুরে দেখেন। শ্বেতিঝোরা এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল।

ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল?‌ অন্যদিকে এখান থেকেই রাজ্য সরকারকে খোঁচা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উত্তরবঙ্গে এসেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী এবং আমলারা। তারপরও খোঁচা শুনতে হল রাজ্য সরকারকে। রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‌মেঘভাঙা বৃষ্টি খুব দুর্ভাগ্যজনক। তাতে ট্রাফিক ব্যাহত হয়েছে। সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এটা ভাল যে সাধারণ মানুষ ত্রাণ শিবিরে যাচ্ছেন। উন্নয়নের নামে প্রকৃতিকে ধ্বংস করা ঠিক নয়। রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।’‌ রাজ্যপালকে আগে পর্যটক বলে খোঁচা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তিনি তা নিয়ে খোঁচা দেন। তাঁর কথায়, ‘‌হ্যাঁ, আমি পর্যটক। বিপদগ্রস্ত মানুষদের দেখতে এসেছি। জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি মন্ত্রীরও আমার সঙ্গে পর্যটকের মতো আসা উচিত ছিল।’‌

আরও পড়ুন:‌ এবার চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে প্রধান’ কর্মসূচি, তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া উদ্যোগ গ্রামবাংলায়

রাজ্যের মন্ত্রী ঠিক কী বলছেন?‌ রাজ্যপালের কথা নিয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বানভাসী এলাকা পরিদর্শনে এসেছি। দফতরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করব। তার পর সব দেখে সিদ্ধান্ত নেব কোথায় কোথায় যেতে হবে। কোথাকার পরিস্থিতি কেমন, সেখানে কী করতে হবে–সহ যাবতীয় কাজ। আমরা কত দূর মানুষের সাহায্যে পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারব সে সব নিয়েই আলোচনা হবে। আগে মানুষের সাহায্যে কাজ করতে হবে। তারপর বাকি সব নিয়ে কথা হবে।’‌