তৃণমূলকে উত্তরবঙ্গে এসে দেখা করার প্রস্তাব রাজ্যপালের, তোপ দাগলেন ডেরেক

এবার সরাসরি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সংঘাতে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজভবন অভিযান শুরু হয়েছে। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য চিঠি দেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’‌ব্রায়েন। তার জন্য সময় চান তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজভবন ঘেরাও অভিযান হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যপাল আগেই কেরল সফরে গিয়েছিলেন। আজ সেখান থেকে ফিরে বানভাসী উত্তরবঙ্গ পরিস্থিতি পরিদর্শনে চলে যান রাজ্যপাল। সুতরাং রাজভবনে তিনি ফিরে না আসা পর্যন্ত সাক্ষাৎ হচ্ছে না বলেই খবর। তার মধ্যেই রাজপালের উদ্ভট প্রস্তাব পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

যার জবাব দিয়েছেন ডেরেক ও’‌ব্রায়েন স্বয়ং। আর এই জবাবের মধ্য দিয়ে সরাসরি সংঘাতের পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে কলকাতায় নেই রাজ্য়পাল। আর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য গতকাল রাতে তাঁকে চিঠি পাঠানো হয়। যার উত্তর মিলেছে আজকে। রাজ্যপাল উত্তরে লেখেন, ‘‌দেখা করতে চাইলে উত্তরবঙ্গে আসুন।’ আর এই প্রস্তাবকে কার্যত অবাস্তব বলেছেন ডেরেক। রাজভবনের এই ‘জমিদারি’ প্রস্তাবের পালটা তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য়পালের এই প্রস্তাবকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ গতকাল রাতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দেন ডেরেক ও’‌ব্রায়েন। তার উত্তরে রাজ্যপাল জানান, তিনি অনুপস্থিত। পাল্টা রাজ্যসভার সাংসদ লেখেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল দেখা করার জন্য সময় চাইছে। আপনি ফিরে তাহলে একটা সময় দিন। তার জন্য অপেক্ষা করা হবে। তখন পাল্টা রাজ্যপাল লেখেন, ‘‌প্রতিনিধিদল চাইলে উত্তরবঙ্গের সার্কিট হাউজে এসে দেখা করতে পারেন।’‌ আর এমন অবাস্তব প্রস্তাব পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ডেরেক।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌সপ্তপদী’‌ ছাড়া হিন্দু আইনে বিবাহ বৈধ নয়, বড় রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ রাজভবনের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাবকে ‘জমিদারি সংস্কৃতি’ বলে তোপ দাগেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপালের ফেরার অপেক্ষা করবেন তাঁরা। আর চিঠিতে লিখেছেন, ‘‌তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার প্রস্তাব অবাস্তব এবং দুর্ভাগ্য়জনক। এই ধরনের জমিদারি সংস্কৃতি আমরা মানি না। তার বিরুদ্ধেই আমরা লড়াই করছি। এই প্রস্তাব জমিদারি সংস্কৃতির প্রতীক।’‌ এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনাটি নিয়ে একটি টুইট করা হয়।