Diabetes: ১০০ বছর আগে তৈরি হয় ইনসুলিন, তারপর কতটা বদলেছে ডায়াবিটিস চিকিৎসা, উঠে এল আলোচনায়

আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগে ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্যে নোবেল পুরস্কার পা স্যার ফ্রেডরিক ব্যান্টিং এবং জন ম্যাকলাউড। এই আবিষ্কার বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক বড় জয়। কারণ এটি আদতে ডায়াবিটিসের মহৌষধি।এক পলকেই এই আবিষ্কার পাল্টে দিয়েছিল বাঁচার অর্থ। ১৯২১ সাল পর্যন্ত ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি বিনা ইনসুলিন না পেয়ে অকালেই মারা যেতেন।

(আরও পড়ুন: কুমড়ো নয়, অন্য এক বীজও ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়ে! রান্নাঘরের বয়ামেই রয়েছে সেটি)

সম্প্রতি এই বিষয়ে সচেতনতা প্রসারে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মেটা ফাউন্ডেশন। সেখানে ডায়াবিটিস রোগটির ব্যাপকতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক দেবাশিস বসু। বর্তমানে গোটা বিশ্বের ডায়াবিটিস চিকিৎসার ছবি তিনি তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে। তাঁর কথায়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত দেশগুলিতে ডায়াবিটিসের হার বেশি। টাইপ ২ ডায়াবিটিস রোগীদের দুজনের মধ্যে একজনকে নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়। সেই ইনসুলিনের জোগান রোগের তুলনায় অপ্রতুল।

(আরও পড়ুন: বয়স বাড়লেও দ্রুত কাজ করবে মস্তিষ্ক! দুই সবজি বেটে রোজ অল্প করে খান)

এই দিন ইনসুলিন আবিষ্কারকদের স্মরণ করা হয় ওই অনুষ্ঠানে। এর পর অনুষ্ঠানের মাঝে ‘পেরিলস অব হাইপোগ্লিসিমিয়া’ বইয়ের প্রচ্ছদ প্রকাশ করা হয়। ২৫ অক্টোবর ইনসুলিন আবিষ্কারকদের নোবেল প্রাপ্তির দিনে বইয়ের প্রকাশ। বইটিতে ইনসুলিন আবিষ্কারের পাশাপাশি ডায়াবিটিস রোগটির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন চিকিৎসক দেবাশিস বসু।  বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইপ ১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। অন্যদিকে ৬০ মিলিয়নের বেশি ব্যক্তি টাইপ ২ ডায়াবিটিসের রোগী। এই রোগের চিকিৎসার মূল স্তম্ভ হল ইনসুলিন। ইনসুলিন রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবিটিসের মতো মারণ রোগ।