Underpass in Howrah:জলের তলায় কোনা এক্সপ্রেস সংলগ্ন আন্ডারপাস, বার করতে কাটা হবে রাস্তা!

কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। হাওড়ার বহু জায়গা এখনও জলের তলায় রয়েছে। কোনা এক্সপ্রেসের গরপা সেতুর আন্ডারপাসটিও গত কয়েকদিন ধরেই জলে ডুবে রয়েছে। যার ফলে সেখান দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এই অবস্থায় কলকাতাগামী একটি লাইন বন্ধ রেখে অন্য লাইন দিয়েই দুদিকের গাড়ি চালানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে, পালটা স্থানীয়দের দায়ী করেছেন প্রশাসনের কর্তারা।

আরও পড়ুন: নিম্নচাপে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি, জেলাগুলিকে বাঁধ নিয়ে সতর্ক করল নবান্ন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক বছর আগে এই আন্ডারপাসটি উদ্বোধন করেছিলেন। এর জন্য খরচ হয়েছিল কয়েক কোটি টাকা। এই আন্ডারপাস থেকে জল নামানোর জন্য হাওড়া পুরসভা, হাওড়া সিটি পুলিশ এবং পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়কের ইঞ্জিনিয়াররা প্রথমে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু, তারপরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এরফলে সেখানে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। রাজ্যের পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়কের তরফে এই আন্ডারপাসটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আন্ডারপাসটি সবচেয়ে নিচু জায়গায় অবস্থিত হলেও আগে সেখানে জল জমত না। উনসানি, নয়াবাজ বা শীতলাতলা হয়ে জল বেরিয়ে যেত। কিন্তু, কয়েক বছর আগে জগছায় জলা জায়গা বুজিয়ে একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে। ফলে ওই মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ার পর থেকে জল নামার জায়গা পাচ্ছে না। আর সেই কারণেই ভারী বৃষ্টি হলেই জলের তলায় চলে যাচ্ছে আন্ডারপাসটি। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত মঙ্গলবার জেলা শাসক একটি বৈঠক করেন। তাতে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত দফতরের সড়ক বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার এবং হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে একটি রাস্তা কেটে সেই জল পাশের ঝিলে বের করে দেওয়া হবে। এরজন্য পাম্পের সাহায্য নেওয়া হবে। যদিও ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, যে সমস্ত এলাকা জল ওই জায়গায় জল ঢোকে সেই নিকাশি বন্ধ করে দেওয়া ছিল। স্থানীয়রা সেগুলি খুলে দিয়েছে। তারফলে সমস্যা হচ্ছে।

এর পাশাপাশি টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে হাওড়া পুরসভার ২০ ওয়ার্ড। কার্যত বনভাসী অবস্থা উত্তর হাওড়া, বেলগাছিয়া এবং টিকিয়াপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার। এই অবস্থায় পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুরসভা। এ প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, ৫০টি পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।