NewsClick case: ২০১৯-এর নির্বাচনে নাশকতার ষড়যন্ত্র করেছিলেন নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা, বলছে FIR

চাপে পড়ে কি পিছিয়ে এল দিল্লি পুলিশ? শুক্রবার ওয়েব পোর্টাল নিউজক্লিক বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। সেই এফআইআরে অভিযুক্ত হিসাবে নাম দেওয়া হয়েছে সমাজকর্মী গৌতম নাভলাখা এবং আমেরিকান ব্যবসায়ী নেভিল রয় সিংহমের। এছাড়া নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক প্রবীর পুরকায়স্থ-সহ তাঁর বেশ কয়েকজন সহযোগীরও নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের প্রাপ্ত অর্থের উৎসের খোঁজ করছে পুলিশ। তবে উল্লেখযোগ্য, যে ৪৬ জনকে সন্দেহভাজন হিসাবে তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল মঙ্গলবার, তাঁদের নাম এফআইআর-এ উল্লেখ নেই।  প্রবীর পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে নির্বাচনে নাশকতার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এফআইআরে বলা হয়েছে, পুলিশ গোপন তথ্য পেয়েছে, ভারতের সার্বভৌমত্ব ও এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে বিঘ্নিত করা এবং আশান্তি  সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রের জন্য ভারতীয় এবং বিদেশী সংস্থাগুলির কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে। যা ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, প্রবীর পুরকায়স্থ,  অমিত সেনগুপ্ত, ডি রঘুনন্দন, বাপ্পাদিত্য সিনহা, গৌতম নভলাখা, অমিত চক্রবর্তী এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিডিয়া হোল্ডিং এলএলসি নিউজক্লিকের শেয়ারহোল্ডার। 

এফআইআরে আরও বলা হয়েছে,  গৌতম নাভলাখা যিনি নিউজক্লিকের ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। নাভলাখা নিষিদ্ধ নকশাল সংগঠনগুলিকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করার মতো ভারত-বিরোধী এবং বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। 

এতে আরও বলা হয়েছে যে নভলাখা ১৯৯১ সাল থেকে পুরকায়স্থের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের যোগ ছিল গোলাম নবী ফাইয়ের সঙ্গে। পুলিশের তথ্যে যিনি ছিলেন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট।

এফআইআর-এ আরও অভিযোগ করা হয়েছে, পুরকায়স্থ বিদেশি তহবিল সরিয়েছিলেন। তা দেওয়া হয়েছে, গৌতম নাভলাখা, তিস্তা সীতালওয়াদের সহযোগীরা তথা জাভেদ আনন্দ, তামারা, জিবরান, উর্মিলেশ, আরাত্রিকা হালদার, পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা, ত্রিনা শঙ্কর, অভিসার শর্মা ইত্যাদিকে।

পুলিশ দাবি করেছে, পুরকায়স্থ এবং নেভিল ও অন্য কয়েকজন ‘চিনা কর্মী’দের মধ্য চালাচালি হওয়া ই-মেলে দেখা গিয়েছে, ‘অরুণাচল প্রদেশ এবং কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসাবে না দেখানোতে তাঁদের উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছেন।’ ভারতীয় অর্থনীতির বিপুর ক্ষতির জন্য কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ এবং পরিষেবাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপকে নেতিবাচক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। 

পুলিশ এফআইআর-এ আরও অভিযোগ করেছে, পুরকায়স্থ পিপলস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড সেক্যুলারিজম নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে মিলে ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে নাশকতার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।