Rathin Ghosh: ইডি-র চাপ কাটিয়ে সটান ধর্না মঞ্চে রথীন ঘোষ, যা বললেন HT বাংলাকে

শুক্রবার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে টানা ১৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলায় ইডি। সকাল ছটায় তাঁর উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের বাড়িতে ঢোকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বেরোন রাত পৌনে দুটো নাগাদ। এই দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশির পরও দলের ধর্না মঞ্চে হাজির হলেন রথীন ঘোষ। তিনি শুধু হাজির ছিলেন না মঞ্চে বক্তব্যও রেখেছেন।

১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। শনিবার সন্ধে নাগাদ ধর্না মঞ্চে আসেন রথীন ঘোষ। মঞ্চে তিনি বক্তব্যও রাখেন। তাঁর পরনে ছিল সবুজ পাঞ্জাবী। বক্তব্য রাখার সময় তাঁকে সপ্রতিভই দেখা যায়। তিনি জানান, নেত্রীর নির্দেশেই তিনি ধর্না মঞ্চে এসেছেন। তিনিও চান এই দুর্নীতির তদন্ত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। তিনি বলেন, ‘ইডি আধিকারিকদের পুর নিয়োগ কী ভাবে হয় তা বোঝায় খামতি ছিল। সেই জন্য ওদের একটি বই উপহার দিয়েছি। বইটি পড়লে পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সুবিধা।’ ইডি আধিকারিকেরা তাঁর বাড়ি থেকে একটি ল্যাপটপ এবং দু’টি মোবাইল নিয়ে গিয়েছেন।

(পড়তে পারেন। খাদ্যমন্ত্রীর বাড়ি ত্যাগ করল ইডির টিম, টানা ১৯ ঘণ্টা তল্লাশিতে হাতে কি এল?‌)

বক্তব্যে শেষ করে তিনি যখন বসতে যাচ্ছিলেন সে সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পিঠে রেখে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। মঞ্চে রথীন ঘোষ গিয়ে বসেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাশে। সেই সময় বক্তব্য রাখতে ওঠেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন ফিরহাদ হাকিম ও রথীন ঘোষকে কথা বলতে দেখা যায়। তাতে যোগ দেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ও।

দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখার পর মঞ্চ থেকে নেমে পড়েন খাদ্যমন্ত্রী। বাড়ির দিকে রওনা দেওয়ার সময় HT বাংলার প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওরা পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওদের যা জিজ্ঞসার করার ছিল তা ওরা করেছে। আমার যা উত্তর দেওয়ার তাই দিয়েছি।’ এর পর কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর সঙ্গেও কিছুক্ষণ কথা বলে তিনি গাড়িতে উঠে পড়েন।

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। প্রায় এক দশক ধরে রথীন ঘোষ মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সূত্রে পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে প্রশ্ন করে ইডি।